সংক্ষিপ্ত
আজ আমরা আপনাকে আম খাওয়ার সঠিক উপায় এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করতে যাচ্ছি যাতে এটি আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় কেবল উপকারই করবে এবং ক্ষতি করবে না। তো চলুন জেনে নিই কিভাবে আম আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
যারা আম খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। এখন আম খেতে আর কোনও অজুহাত লাগবে না, বরং আম খেতে পারবেন বিনা দ্বিধায়। হ্যাঁ, আজ আমরা আম খেয়ে ওজন কমানোর বিষয়ে বলতে যাচ্ছি। কিন্তু এতক্ষণে নিশ্চয়ই শুনেছেন যে আমে ক্যালরির পরিমাণ বেশি, যার কারণে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেশি, কিন্তু তা মোটেও নয়। আজ আমরা আপনাকে আম খাওয়ার সঠিক উপায় এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করতে যাচ্ছি যাতে এটি আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় কেবল উপকারই করবে এবং ক্ষতি করবে না। তো চলুন জেনে নিই কিভাবে আম আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
আমের উপকারিতা-
আমে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, কপার, ফোলেট, ভিটামিন এ, ই, বি৫, কে, এবং বি৬, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। যা স্বাস্থ্যকে নানাভাবে উপকার করে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমে উপস্থিত বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ এবং ফাইটোকেমিক্যাল চর্বির সঙ্গে যুক্ত জিনকে দমন করে । এ কারণে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে না এবং শরীরের ওজনও কমে যায়।
খুব বেশি আম খাওয়া যাবে না-
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা ওজন কমানোর যাত্রায় আছেন তাদের বেশি আম খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত যে কোনও কিছু খারাপ, তাই এটা মাথায় রেখেই খেতে পারেন, যাতে আপনার ওজন না বাড়ে এবং আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় কোনও প্রভাব না পড়ে।
আরও পড়ুন- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও মানসিক চাপ কমাতে দারুন কার্যকর এই ৫ যোগা
আরও পড়ুন- বছরে এই রোগে প্রাণ হারায় কয়েক হাজার মানুষ, হালকা উপসর্গেই হয়ে যান সর্তক
আরও পড়ুন- প্রক্রেস্টিনেশন সিনড্রোম কী, জেনে নিন কী এই রোগ এবং কতটা বিপজ্জনক
এভাবে আম খাবেন না-
আমের পরিমাণের কথা মাথায় রেখে এটি খেলে ওজন বাড়বে না।
আপনি যদি ওজন কমানোর বিষয়ে নজর দেন, তাহলে এর থেকে তৈরি স্মুদি, সরবত বা শেক খাবেন না।
দিনে একটির বেশি আম খাবেন না।
খাবারের সঙ্গে কখনই আম খাবেন না।
খাবারের আগে বিকেলে বা সকালের জল-খাবারে খাওয়া যেতে পারে
পরামর্শ: আম খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে ওজন কমানোর সময় এর পরিমাণের কথা মাথায় রাখুন। অত্যধিক খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধিও হতে পারে।