সংক্ষিপ্ত
জন্মাষ্টমী হল হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসবগোকূলে দেবকীর অষ্টম গর্ভে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিনে বা অষ্টম তিথিতে জন্ম হয় কৃষ্ণের। এরপরই এই তিথির মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পায় অনেক বেশি। এই তিথির আর এক নাম গোকূল অষ্টমী। ইতিমধ্যেই জন্মাষ্টমীর আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছর জন্মাষ্টমীতে অতি উত্তম সংযোগ রয়েছে। অনেকেই জন্মাষ্টমীর দিন ছাপান্ন ভোগের আয়োজন করেছেন। তবে জানেন কি জন্মাষ্টমীতে ছাপান্ন ভোগের মধ্যে এই বিশেষ জিনিসগুলি না রাখলেই প্রচন্ড রুষ্ট হবেন শ্রীকৃষ্ণ। সুতরাং ভোগ নিবেদনের আগে জেনে নিন কী কী রাখবেন।
জন্মাষ্টমী হল হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসবগোকূলে দেবকীর অষ্টম গর্ভে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিনে বা অষ্টম তিথিতে জন্ম হয় কৃষ্ণের। এরপরই এই তিথির মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পায় অনেক বেশি। এই তিথির আর এক নাম গোকূল অষ্টমী। ইতিমধ্যেই জন্মাষ্টমীর আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছর জন্মাষ্টমীতে অতি উত্তম সংযোগ রয়েছে। অনেকেই জন্মাষ্টমীর দিন ছাপান্ন ভোগের আয়োজন করেছেন। তবে জানেন কি জন্মাষ্টমীতে ছাপান্ন ভোগের মধ্যে এই বিশেষ জিনিসগুলি না রাখলেই প্রচন্ড রুষ্ট হবেন শ্রীকৃষ্ণ। সুতরাং ভোগ নিবেদনের আগে জেনে নিন কী কী রাখবেন।
জন্মাষ্টমীর বিশেষ ভোগ হল ছাপান্ন ভোগ। এই ছাপান্ন ভোগ দিয়েই শ্রীকৃষ্ণকে ভোগ নিবেদন করা হয়। এই ভোগ ছাড়া জন্মাষ্টমীর পুজো সম্পন্ন হয়না। তবে এই ভোগ দিলেই হল না। এই কিছু নিয়মও রয়েছে। যা সঠিক নিয়ম মতো না করলে প্রচন্ড রুষ্ট হন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। বিশেষ করে জন্মাষ্টমীর দিন ছাপান্ন ভোগের মধ্যে এই বিশেষ জিনিসগুলি না রাখলেই প্রচন্ড রুষ্ট হবেন শ্রীকৃষ্ণ। এবং সেগুলি কীভাবে পরিবেশন করতে হবে তাও জানতে হবে নিয়ম মতো। জন্মাষ্টমীর দিন দুধের তৈরি খাবারগুলি সবার আগে পরিবেশন করতে হবে। এই ভোগের মধ্যে থাকবে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০ টি মিষ্টি এবং ২০ ধরনের শুকনো ফল। গোপালের প্রধান খাবার হল মাখন ও মিছরি। কারণ এই দুটো খাবারই নন্দগোপালের ভীষণ প্রিয়। ভোগ সাজানোর সময়েও প্রথমে দুধের তৈরি খাবার এবং শেষে মিষ্টি দিয়ে সাজাতে হয়।
আরও পড়ুন-কেন মুকুটে ময়ূরের পেখম পরেন শ্রীকৃষ্ণ, প্রচলিত রয়েছে একাধিক গল্প
আরও পড়ুন-জন্মাষ্টমীর ভোগ, তাল ক্ষীরের রেসিপি রইল এই বিশেষ তিথি উপলক্ষে
ইতিমধ্যেই জন্মাষ্টমীর আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছর জন্মাষ্টমীতে অতি উত্তম সংযোগ রয়েছে। জন্মাষ্টমীর দিন এই ছাপান্ন ভোগ প্রথম শ্রী কৃষ্ণকে নিবেদন করা হয় এবং পরে এই ভোগ সকলকে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়। তবে এই ভোগের মধ্যে গোপালের পছন্দের জিনিস না থাকলেই তিনি রুষ্ট হন। জন্মাষ্টমীর ব্রত পালনের সময় নিয়ম মেনে পুজো করলে সুফল পাওয়া যায়। যেমন পুজোর প্রয়োজনীয় উপকরণ অর্থাৎ ফুল, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, আতপ চাল, ফলের নৈবেদ্য, তুলসীপাতা, দূর্বা, ধূপ, দীপ, পাট, বালি,তুলসীপাতা, দূর্বা, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধু পর্কের বাটি, আসন-অঙ্গুরী সংগ্রহ করতে হয়। জন্মাষ্টমীর দিন সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করলে তবেই কিন্তু সঠিক ফল পাওয়া যাবে। জন্মদিনের দিন একেবার নবরূপে সুসজ্জিত করতে হয় শ্রী কৃষ্ণকে। সেখানে রাখা হয় ঝুলন, নতুন জামা, ময়ূরের পালক লাগানো মুকুট, পাঞ্চজন্য শঙ্খ, বাঁশি, সুদর্শন চক্র, ফুলের মালা, হাতে বালা, এই সব দিয়ে সাজিয়ে তুলতে হবে শ্রী কৃষ্ণকে।
জন্মাষ্টমীর দিন মনের ইচ্ছা খুব শীঘ্রই পূরণ হয় বলে বলা হয়। ৩০ অগাস্ট জন্মাষ্টমীর দিন রাত ১১:৪৭ মিনিট থেকে ৩১ অগাস্ট ১২:৩২ মিনিটে পালিত হবে নিশীথ পুজো। সেই সময় ৪৫ মিনিট সময় হাতে থাকে পুজো পাঠের জন্য। এই সময় শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় বলে ধরে নেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীর দিনে গোপালকে স্নান করানো হয় দুধ দিয়ে। ৩০ অগস্ট, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে ১২টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত পুজোর শুভক্ষণ। ৩০ অগস্ট রাত ১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্তই রোহিণী নক্ষত্র থাকবে।