বাড়িতে কি এই অশুভ ঘটনা ক্রমশ ঘটেই চলেছে? ভয়ঙ্কর বাস্তুদোষের ইঙ্গিত, সাবধান হতে হবে

হিন্দু ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। বাস্তুশাস্ত্র দুই ধরণের শক্তির উপর ভিত্তি করে— ইতিবাচক এবং নেতিবাচক।
বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম মেনে চললে জীবনে ইতিবাচক ঘটনা ঘটবে বলে বিশ্বাস। কিন্তু এই নিয়ম অমান্য করলে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যদি আপনার বাড়িতে বা জীবনে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে বাস্তুদোষ আছে। আসুন এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

বাস্তুদোষের লক্ষণ :

১. অর্থনৈতিক সমস্যা:

আপনার বাড়িতে প্রতিদিন যদি কোনও ভ্রমণ সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে সতর্ক হোন। কারণ এটি বাস্তুদোষের লক্ষণ। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাস্তুদোষের কারণে বাড়িতে আয় কমে এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণ হল আপনার বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাস্তুগত ত্রুটি থাকতে পারে। বাড়ির প্রধান দরজা বা জানালার দিক পরিবর্তন করে এই ত্রুটি দূর করা যেতে পারে।

২. স্বাস্থ্য সমস্যা:

আপনি বা আপনার পরিবারের সদস্যরা যদি ঘন ঘন অসুস্থ হন, তাহলে এটিকে অবহেলা করবেন না। কারণ এটি বাস্তুদোষের লক্ষণ। আপনার বাড়িতে বাস্তুগত ত্রুটির কারণেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কোনও জিনিসপত্র রাখলে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই বাড়ির এই দিকটি সবসময় খালি রাখা উচিত।

৩. অনিদ্রা:

আপনি বা আপনার পরিবারের অন্য কেউ যদি অনিদ্রায় ভোগেন, তাহলে এটি বাস্তুদোষের লক্ষণ। শোবার ঘরে কোনও বাস্তুগত ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত দূর করুন।

৪. ঝগড়া এবং উত্তেজনা:

বাড়িতে যদি প্রায়ই ঝগড়া হয়, তাহলে এটি বাস্তুদোষের লক্ষণ। বাস্তুদোষের কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ এবং ঝগড়া বেড়ে যায়। যদি আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভব করেন, তাহলেও এটি বাস্তুদোষের লক্ষণ।

৫. কাজে বাধা:

আপনার কাজে যদি প্রায়ই বাধা আসে বা সাফল্য হাতছাড়া হয়ে যায়, তাহলে এটি বাস্তুদোষের লক্ষণ। কাজে বাধার প্রধান কারণ হল বাড়ির মাঝখানে বাস্তুগত ত্রুটি থাকা। বাড়ির মাঝখানে, যা ব্রহ্মস্থান নামে পরিচিত, কোনও ভারী জিনিসপত্র রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে এই জায়গায় টয়লেট থাকা উচিত নয়।

৬. গাছপালা এবং পশুপাখির উপর খারাপ প্রভাব:

বাড়ির পোষা প্রাণী যদি প্রায়ই অসুস্থ হয় বা গাছপালা কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ শুকিয়ে যায়, তাহলে এটি বাস্তুদোষের লক্ষণ।