সংক্ষিপ্ত

বিদুর নীতি: বিদুর নীতিতে এমন অনেক কথা লেখা আছে যা আমাদের জন্য খুবই কাজের। মহাত্মা বিদুরের এই কথাগুলো জীবনে নামিয়ে অনেক সমস্যা থেকে বাঁচতে পারি।

 

বিদুর নীতি জীবন ব্যবস্থাপনা: মহাত্মা বিদুর সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। তিনি মহাভারতের অন্যতম প্রধান চরিত্র। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মহাত্মা বিদুর রাজা ধৃতরাষ্ট্রকে যে উপদেশ দিয়েছিলেন, তাকে বিদুর নীতি বলা হয়। বিদুর নীতিতে জীবন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত অনেক টিপস বলা হয়েছে। এই টিপস আজও আমাদের জন্য খুবই কার্যকর। বিদুর নীতিতে ৮ জন এমন ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে যাদের উপর ভুল করেও বিশ্বাস করা উচিত নয়। জেনে নিন কারা এই ৮ জন…

 

 

স্ত্রীধূর্তকেলসে ভীরৌ চণ্ডে পুরুষমানিনী।
চৌরে কৃতঘ্নে বিশ্বাসো ন কার্যো ন চ নাস্তিকে।।

অর্থ- স্ত্রী, ধূর্ত, আলস্য, ভীরু, ক্রোধী, চোর, কৃতঘ্ন এবং নাস্তিকের উপর বিশ্বাস করা উচিত নয়।

জেনে নিন এই ৮ জনের উপর ভরসা না করার কারণ

স্ত্রী: মহিলাদের মন চঞ্চল। তারা কথায় কথায় না বলার কথাও বলে ফেলেন। তাই তাদের উপর বিশ্বাস করা উচিত নয়।

ধূর্ত: এই ধরনের মানুষ নিজের স্বার্থে যে কারোরই ক্ষতি করতে পারে। তাই তাদের উপর কখনোই বিশ্বাস করবেন না।

আলস্য: এরা পরিশ্রম ছাড়াই ফল পেতে চায়। এদের উপর বিশ্বাস করা মানে নিজের পায়ে কুড়াল মারা।

ভীরু: এরা যে কারোর ভয় দেখালেই গোপন কথা ফাঁস করে দিতে পারে। তাই এদের উপর ভরসা করাও কঠিন।

ক্রোধী: এরা রাগের মাথায় ভালো-মন্দ বিচার করে না। এদের উপর খুব বেশি ভরসা করা যায় না।

চোর: যে ব্যক্তি চুরি করে জীবনধারণ করে, সে কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমন মানুষদের থেকে দূরে থাকাই ভালো।

কৃতঘ্ন: যারা কারোর উপকার স্বীকার করে না, এমন মানুষদের উপর ভরসা করা খুবই কঠিন। এরা নিজের স্বার্থে যে কারোরই বিশ্বাস ভেঙে দিতে পারে।

নাস্তিক: যারা ভগবানে বিশ্বাস করে না, তাদের উপর আপনারও বিশ্বাস করা উচিত নয়, কারণ এদের ভালো-মন্দের জ্ঞান নেই।

Disclaimer
এই প্রবন্ধে যে তথ্য রয়েছে, তা জ্যোতিষীদের দ্বারা বলা হয়েছে। আমরা কেবল এই তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যগুলিকে কেবল তথ্য হিসেবেই গণ্য করবেন।