শীত মানেই রঙিন ফুল। কোন কোন গাছ বাগানে বসালে রামধনুর সাত রঙের মতো বর্ণময় হয়ে উঠবে বাগিচা জানুন।

শীতকালে আপনার বাগানকে রকমারি ও বর্ণিল করে তুলতে চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, গাঁদা, গোলাপ, অ্যাস্টার, ডেইজি, প্যানজি, জারবেরা, ক্যামেলিয়া, পিটুনিয়া এবং ভারবেনার মতো বিভিন্ন ফুলগাছ লাগাতে পারেন। এই ফুলগুলো শীতের মনোরম পরিবেশে খুব ভালোভাবে জন্মায় এবং বাগানে রঙের ছোঁয়া এনে দেয়।

কিছু কিছু শীতকালীন ফুলের নাম ও বিবরণ :

* চন্দ্রমল্লিকা: শীতকালীন বাগানের অন্যতম পরিচিত এবং জনপ্রিয় ফুল। এটি বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায় এবং শীতকালে চমৎকার ফোটে।

* ডালিয়া: মেক্সিকো থেকে আসা এই ফুলটি আকার, রঙ এবং আকৃতির বিশাল বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এটি বাগানে একটি আকর্ষণীয় সৌন্দর্য যোগ করে।

* গাঁদা: শীতের সবচেয়ে পরিচিত ফুলগুলির মধ্যে একটি, যা তার উজ্জ্বল রঙ এবং শীত সহনশীলতার জন্য বিখ্যাত।

* গোলাপ: "ফুলের রাণী" গোলাপ শীতকালে খুব ভালোভাবে ফোটে এবং বিভিন্ন রঙের কারণে এটি বাগানে একটি ক্লাসিক সৌন্দর্য নিয়ে আসে।

* অ্যাস্টার: এটি একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় শীতকালীন ফুল যা বাগানে রঙের সমাহার ঘটাতে সাহায্য করে।

* ডেইজি: এই ফুলগুলো তাদের সরল ও সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত এবং শীতকালে বাগানে একটি স্নিগ্ধতা নিয়ে আসে।

* প্যানজি: শীতকালে এটি একটি জনপ্রিয় এবং সুন্দর ফুল, যা বাগানে এবং টবে উভয় ক্ষেত্রেই লাগানো যেতে পারে।

* জারবেরা: এর উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত রঙ বাগানে একটি উৎসবের আমেজ তৈরি করে। এটিও শীতকালে ভালো ফোটে।

* ক্যামেলিয়া: শীতের সময় এই ফুল ফোটে এবং কম রোদে ভালো হয়। একবার লাগালে এটি বহু বছর ধরে ফুল দেয়।

* পিটুনিয়া: শীতকাল থেকে শুরু করে বসন্তকাল পর্যন্ত ফুল দেয়। এর উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় রঙ বারান্দা বা জানালার পাশে লাগানোর জন্য আদর্শ।

* ভারবেনা: এই ফুলটি বাগানে খুব সুন্দরভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উজ্জ্বল রঙে পাওয়া যায়।ফ্লক্স, কারনেশান, ক্যালেন্ডুলা, গাজানিয়া এই ফুলগুলোও শীতকালে বাগানে লাগানো যেতে পারে এবং এগুলো বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।

* স্ন্যাপড্রাগন : বাগানের রূপ বদলে দেবে এই গাছ। নানা রঙের হয় ফুলগুলি। ১০-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এই গাছের জন্য আদর্শ। স্ন্যাপড্রাগন গাছের বেড়ে ওঠার জন্য ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যালোক দরকার। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে। শীতই ফুল ফোটার মরসুম। জৈবসার মিশিয়ে শুরুতেই মাটি তৈরি করে নিন। ফুল ফোটা শুরু হলে এক মাস অন্তর খোলপচা সার দিতে পারেন।