পিঠের ব্যথা: সি-সেকশন ডেলিভারির পরে পিঠের ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। গরম সেঁক, হালকা যোগব্যায়াম, সঠিক ভঙ্গি, মালিশ এবং পুষ্টিকর খাবারের মতো ঘরোয়া উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

সি-সেকশনের পরে পিঠের ব্যথা: ডেলিভারির পরে মহিলাদের অনেক শারীরিক পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে সি-সেকশনের পরে শরীর সুস্থ হতে একটু বেশি সময় লাগে। এই সময়ে পিঠের ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যা কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে। এই ব্যথা কখনও কখনও এতটাই তীব্র হতে পারে যে এটি দৈনন্দিন কাজকর্মেও সমস্যা সৃষ্টি করে। যদি আপনিও সি-সেকশনের পরে ক্রমাগত পিঠের ব্যথায় ভুগছেন, তাহলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। আপনি কিছু ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আসুন জেনে নেই পিঠের ব্যথা কমানোর জন্য কী করবেন?

গরম পানি সেঁক

ডেলিভারির পরে ব্যথা কমাতে গরম সেঁক ব্যবহার করা যেতে পারে। সি-সেকশনের পরে পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট গরম পানির বোতল বা হিটিং প্যাড দিয়ে পিঠ সেঁক করুন। এতে পেশীর টান কমে এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হালকা যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং উপকারী

সি-সেকশন ডেলিভারির কিছু সময় পরে আপনি হালকা যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং করেও পিঠের ব্যথার সমস্যা কমাতে পারেন। যোগব্যায়াম করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন। এতে পিঠের পেশী শক্তিশালী হয় এবং ব্যথা কমে।

সঠিক ভঙ্গি অবলম্বন করুন

অনেক সময় ভুল ভঙ্গিতে দুধ খাওয়ানোর কারণে সি-সেকশনের পরে মহিলাদের পিঠের ব্যথার সমস্যা হয়। তাই শিশুকে সঠিক ভঙ্গিতে দুধ খাওয়ান। এর জন্য শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় বালিশ দিয়ে কোমরকে সাপোর্ট দিন। অনেকক্ষণ ঝুঁকে বসবেন না। সবসময় সোজা হয়ে বসা এবং উঠার অভ্যাস করতে হবে।

হালকা মালিশ

গরম তিল বা নারকেল তেল দিয়ে পিঠে হালকা মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং পেশীতে জমে থাকা ক্লান্তি দূর হয়।

প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

হাড় এবং পেশীকে শক্তিশালী করতে খাদ্যতালিকায় দুধ, দই, পনির, সবুজ শাকসবজি, বাদাম এবং ডিম অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে ধীরে ধীরে পিঠের ব্যথার সমস্যা কমতে পারে।