সংক্ষিপ্ত

শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস গরম দুধ খুবই উপকারী।গরম দুধ ক্লান্ত পেশিকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তবে শুধু গরম দুধ নয়, প্রতিদিন যদি গরম দুধে মধু মিশিয়ে খান তাহলে আরও অনেক বেশি উপকার পাবেন।

 ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে গিয়ে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এভাবেই অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধছে নানান রোগ। কর্মব্যস্ততার পর শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস গরম দুধ খুবই উপকারী। গরম দুধ ক্লান্ত পেশিকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। দুধের পুষ্টিগুণ আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু অনেকেরই দুধ খেতে ভাল লাগে না। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস হল দুধ। যা দাঁত ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। যারা সাারদিন একটানা কাজ করছেন, কর্মব্যস্ততার পর শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস গরম দুধ খুবই উপকারী।গরম দুধ ক্লান্ত পেশিকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তবে শুধু গরম দুধ নয়, প্রতিদিন যদি গরম দুধে মধু মিশিয়ে খান তাহলে আরও অনেক বেশি উপকার পাবেন। তবে কোন সময়টা গরম দুধ খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী,জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের বেলা ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস করে গরম দুধ খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। তবে চিনি ছাড়া গরম দুধ শরীরের জন্য উপকারি। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। মূলত টাইপ -১ ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে তারা চিনি ছাড়াই দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন। গরম দুধ মন এবং শরীরকে শিথিল রাখতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস উষ্ণ দুধ খেলে ঘুম ভাল হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর ভাল রাখতে দুধ খুব কার্যকরী। যারা ওজন কমাতে চাইছেন, শোবার সময় গরম দুধ পান করলে অনেকক্ষণ রাতে পেট ভরা থাকে। যা ওজন কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।

মহিলাদের হাড় মজবুত করতে গরম দুধের জুড়ি মেলা ভার। উষ্ণ দুধ পান করলে হাড়-সংক্রান্ত রোগ যেমন অস্টিওপেনিয়া, অস্টিওপোরোসিস এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। দাঁত শক্ত করতে অনেকটাই সাহায্য করে গরম দুধ। দাঁতের ক্ষয় এবং মুখে দুর্গন্ধ হলে প্রতিদিন গরম দুধ পান করুন। দুধ দাঁতকে শক্তিশালী করে, দুধে বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান রয়েছে, যা অণুজীবকে বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এক চিমটি হলুদের সঙ্গে গরম দুধ পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হলুদের মধ্যেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি প্রদাহ দূর করতেও সহায়তা করে। দুধের মধ্যে ভিটামিন ডি, এ, ল্যাকটিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম আছে। এছাড়াও মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিফাংগাল যা যে কোনও রকম ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশলে তা শরীরের জন্য দারুণ উপকারি। গরম দুধ আর মধু একসঙ্গে খেলে তা স্নায়ুর উপর ভাল প্রভাব ফেলে। ফলে পেশির ক্লান্তিভাব নিমেষে দূর হয়। এবং মানসিক চাপ কমে। হজমও ভালো হয়, এবং ঘুমও গাঢ় হয়।প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে একগ্লাস গরম দুধে মধু মিশিয়ে যদি খাওয়া যায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।