health Care: কাজু ভিজিয়ে রাখলে কী হয়? জেনে নিন ভেজা কাজু খাওয়ার উপকারিতা
- FB
- TW
- Linkdin
সব শুকনো ফলের মধ্যে কাজুকে রাজা বলা যেতে পারে। এটি সকলেরই পছন্দের একটি শুকনো ফল। শুধু স্বাদই নয়, এটি নানা ধরণের পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমরা বিভিন্ন উপায়ে কাজু খেয়ে থাকি। কিন্তু কখনও কি এটি ভিজিয়ে খেয়েছেন? বাদাম, কিশমিশ ভিজিয়ে সবাই খায়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কাজুও ভিজিয়ে খাওয়া যায়? এভাবে খেলে আমাদের অসাধারণ উপকার পাওয়া যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক...
১. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য..
কাজুতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, বিশেষ করে মনো-অ্যানস্যাচুরেটেড এবং পলি-অ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এগুলি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ভিজিয়ে রাখা কাজু খেলে হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভিজিয়ে রাখা কাজুতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে।
স্মৃতিশক্তি ...
মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টিগুণ কাজুতে প্রচুর পরিমাণে থাকে। নিয়মিত ভিজিয়ে রাখা কাজু খেলে মানসিক চাপ কমে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। বাচ্চাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কাজু রাখলে তাদের বুদ্ধিমত্তা এবং শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
পেটের স্বাস্থ্য…
ভিজিয়ে রাখা কাজু হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের ভিটামিন ও খনিজ শোষণের ক্ষমতা বাড়ায়। কাজুতে থাকা ফাইবার একটি সুস্থ অন্ত্র তৈরি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
হাড়ের জন্য বরদান…
কাজুতে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মতো শক্তিশালী হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ রয়েছে। নিয়মিত ভিজিয়ে রাখা কাজু খেলে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করে। নিয়মিত কাজু খেলে ব্যথা কমে। কাজুতে থাকা ভিটামিন কে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য আরও উপকারী।
সুন্দর ত্বক, চুলের স্বাস্থ্য..
উজ্জ্বল ত্বক এবং সুন্দর চুল চান? কাজুই উত্তর! এতে প্রচুর পরিমাণে তামা থাকে, যা কোলাজেন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। এটি ত্বককে টানটান এবং তরুণ রাখে। এছাড়াও, এটি চুল পেকে যাওয়া রোধ করে এবং চুলকে মসৃণ করে তোলে।
কাজু কিভাবে খাবেন..?
কিছু কাজু রাতারাতি বা কমপক্ষে ৪-৫ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর এগুলো সরাসরি খেতে পারেন অথবা সালাদের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।