কোন জলের বোতল স্বাস্থ্যকর? কাঁচ আর প্লাস্টিকের মধ্যে তফাৎ খুঁজে নিন
কোন জলের বোতল স্বাস্থ্যকর? কাঁচ আর প্লাস্টিকের মধ্যে তফাৎ খুঁজে নিন

নিয়মিত ব্যবহারের জন্য সেরা ওয়াটার বোতল: সুস্থ থাকার জন্য শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা অপরিহার্য। তাই প্রতিদিন ওজন অনুযায়ী পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে গরমের সময় পানিশূন্যতা দেখা দেয়, তাই পানি পানে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অন্যথায় প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাড়িতে থাকলে সমস্যা নেই, প্রয়োজন মতো পানি পান করা যায়। কিন্তু বাইরে গেলে ওয়াটার বোতলের উপর নির্ভর করতে হয়।
অনেকেই প্লাস্টিকের বোতল সব জায়গায় বহন করেন। কেউ কেউ দোকান থেকে প্লাস্টিকের বোতলে পানি কিনে পান করেন। তামা, কাচ, স্টিল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বোতল পাওয়া যায়। এই পোস্টে কোন ওয়াটার বোতলে পানি পান করা স্বাস্থ্যকর তা জানুন।
স্টিলের বোতল:
স্টিলের বোতল টেকসই এবং তাপের সাথে বিক্রিয়া করে না। BPA বা phthalates এই বোতলে থাকে না। গরম চা বা পানি ভরলেও তাপমাত্রা ধরে রাখে এবং কোনো বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয় না, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
কাচের বোতল:
কাচের বোতলে কোনো বিষাক্ত পদার্থ বা রাসায়নিক থাকে না। গরম পানি ভরলেও সমস্যা নেই। ভাঙ্গা না পর্যন্ত বারবার ব্যবহার করা যায়।
তামার বোতল:
তামার বোতলে পানি পান করা ঐতিহ্যবাহী। তবে এটি সবসময় ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে প্রদাহ-বিরোধী গুণ আছে বলে মনে করা হয়। তবে পানির সাথে বিক্রিয়া করতে পারে। দীর্ঘক্ষণ পানি রাখা উচিত নয়। জারণ হতে পারে, তাই পরিষ্কার করা জরুরি। রাতে পানি ভরে সকালে পান করা যেতে পারে।
জিপার বোতল:
জিমে বহন করার জন্য সুবিধাজনক। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। মুখ লাগিয়ে পান করার জায়গা পরিষ্কার করা কঠিন, যেখানে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে।
প্লাস্টিকের বোতল:
পুরানো বিসলেরি বা মিনারেল ওয়াটারের বোতল ব্যবহার করা ভুল। এগুলো মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং কিছু রাসায়নিক পানিতে মিশ্রিত করতে পারে। এগুলো একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি।
আপনি ভাবতে পারেন এটা শুধু পানির বোতল। কিন্তু এ থেকে নির্গত রাসায়নিক শরীরে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাস্থ্যের জন্য কাচের বোতল বা স্টিলের বোতলই সেরা।

