সংক্ষিপ্ত

নারী না পুরুষ! কার বুদ্ধি বেশি? চানক্য বলে গিয়েছিলেন আসল সত্য

বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং দার্শনিক চাণক্য সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। তিনি মানব জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছেন। তিনি বলেছেন, নারীরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের ছাড়িয়ে যায় এবং চাণক্য কী বলেছেন...

চাণক্যের মতে, নারীদের পুরুষদের তুলনায় দ্বিগুণ খাদ্য গ্রহণ, চারগুণ বুদ্ধি, ছয়গুণ সাহস এবং আটগুণ কামনা থাকে। এই দুটি লাইনে, আচার্য চাণক্য নারীর ৪ টি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। নারীদের খাদ্য গ্রহণ পুরুষদের তুলনায় দ্বিগুণ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়। তারা ঘরের সব কাজ করে। বাচ্চাদের যত্ন নেওয়াও তাদের দায়িত্ব। এর জন্য প্রচুর শারীরিক শক্তির প্রয়োজন। তাই তারা পুরুষদের তুলনায় বেশি খায়।

চারগুণ বেশি বুদ্ধি:
আচার্য চাণক্য বলেছেন, নারীদের বুদ্ধি পুরুষদের তুলনায় চারগুণ বেশি। তারা শুধু পরিবার নয়, আত্মীয়স্বজনদেরও দেখাশোনা করে। তাদের বুদ্ধি খুবই প্রখর। ঘর পরিচালনা কিভাবে করতে হয়, তা শুধু নারীরাই জানে। ছোট ছোট বিষয়ও তারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে।

আচার্য চাণক্য বলেছেন, নারীদের কামনা পুরুষদের তুলনায় আটগুণ বেশি। তবে, এটাকে তিনি পাপ মনে করেননি। এটা অনৈতিক বা তাদের উদাসীনতার লক্ষণ নয়। নারীদের সন্তান জন্ম দিতে হয়। তাই এই ধরনের অনুভূতি তাদের মধ্যে প্রবল থাকে। পিতৃ ঋণ শোধ করার জন্য কামনা সহজ পথ বলেছেন তিনি। সন্তান জন্ম দেওয়ার মাধ্যমেই এই ঋণ শোধ হয়।

ছয়গুণ বেশি সাহস:
চাণক্য বলেছেন, নারীদের সাহস পুরুষদের তুলনায় ছয়গুণ বেশি। মানুষের বিপরীতে, স্ত্রী জীবজন্তু এবং পাখিরা তাদের সন্তান রক্ষার সময় অনেকগুণ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তারা লড়াই ছেড়ে দেয় না। নারীরা তাদের পরিবারের সুরক্ষার জন্য সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়।


চাণক্যের কথা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ: সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন সবকিছু উল্টে গেছে। নারীরা কম খাবার পায়, যার ফলে তারা অপুষ্টিতে ভোগে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেয় না। এমনকি তাদের বুদ্ধিমত্তাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। তবে, এখন নারীরা শিক্ষিত হচ্ছে, তাই তারা তাদের প্রতিভা দেখাতে শুরু করেছে। তারা সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের থেকে এগিয়ে। তারা ঘর এবং বাইরের কাজ দুটোই খুব সহজে সামলাতে পারে। চাণক্য যা বলেছেন, নারী-পুরুষ উভয়ই যদি তা বোঝে, তাহলে জীবনে কোন সমস্যা থাকবে না। সম্পর্ক সবসময় মধুর থাকবে।