সংক্ষিপ্ত
কারি পাতার রসের গুণে আর কোনও দিনও স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না! ঝরঝরিয়ে মেদ ঝরবে
আয়ুর্বেদে কারি পাতাকে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষত্ব হল, এত উপকারিতায় ভরপুর কারি পাতাও খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। হ্যাঁ, যে খাবারে কারি পাতা মেশাবেন, তার স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যায়। শুধু কারি পাতা নয়, এর রসও শরীরের উপকার করে। ওজন কমাতে কারি পাতার রস পান করতে পারেন। প্রতিদিন কারি পাতার রস পান করলে স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে।
আচার্য বালকৃষ্ণের মতে, কারি পাতা খেলে নানা রোগও দূরে থাকে। জেনে নিন কীভাবে বাড়িতে কারি পাতার রস তৈরি করবেন এবং তা পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
কারি পাতায় প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। কারি পাতায় রয়েছে ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন এ। এ ছাড়া এগুলোতে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের মতো খনিজ পাওয়া যায়। কারি পাতায় অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা শরীরকে রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
কারি পাতার জুস কিভাবে তৈরী করতে হয়?
১ বাটি পরিষ্কার ও ধোয়া কারি পাতা নিতে হবে এবার একটি প্যানে ২ গ্লাস জল ফুটানোর জন্য দিন। উচ্চ আঁচে জল ফুটতে শুরু করলে কারি পাতা দিয়ে দিন। এবার এটি সিদ্ধ করুন এবং জল অর্ধেক হয়ে গেলে ছেঁকে নিতে হবে। এতে ১ চা চামচ মধু ও লেবুর রস মেশান।
চাইলে শুধু কারি পাতা পিষেও জুস বের করতে পারেন। এজন্য একটি মিক্সারে কারি পাতা রেখে আধা কাপ পানি দিয়ে পিষে নিন। চালুনির মাধ্যমে ফিল্টার করে রস বের করুন, এতে কালো লবণ এবং লেবু যোগ করুন এবং এটি পান করুন।
কারি পাতার রস ওজন কমাতে সাহায্য করে
প্রতিদিন খালি পেটে কারি পাতার রস পান করলে স্থূলতা কমে। এতে শরীরে জমে থাকা চর্বি ধীরে ধীরে গলে যায়। কারি পাতায় থাকা ভিটামিন এবং খনিজগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বিপাক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যা ওজন কমানো সহজ করে তোলে। কারি জুস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ইনফেকশন দূর করে। আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে। অ্যানিমিয়া রোগীরা প্রতিদিন কারি পাতার রস পান করলে উপকার পান। কারি পাতা শরীরকে ডিটক্সাইফাই করতে এবং খারাপ টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। এটি হজমশক্তিরও উন্নতি ঘটায়। এটি গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যেও মুক্তি দেয়। কারি পাতা চুলের জন্যও উপকারী।