সংক্ষিপ্ত

দুগ্ধজাত খাবার খেলেই কি বেড়ে যাবে ডায়াবেটিস? ব্লাড সুগার রোগীদের অবশ্যই জানা উচিত

বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে, ভারত বর্তমানে বিশ্বের ডায়াবেটিস রাজধানীতে পরিণত হচ্ছে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে, বহু প্রজন্ম ধরে মানুষ দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারের উপর নির্ভরশীল। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে কম এবং উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে।

দুগ্ধজাত খাবার কি ডায়াবেটিসকে প্রভাবিত করে?:

ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ অঙ্কিতা তিওয়ারি বলেন, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের বিকাশ কমাতে সাহায্য করে। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং গ্লুকোজ বিপাক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ভিটামিন ডি বিপাকীয় স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। অনেক দেশ কাঠামোগত সমৃদ্ধকরণ ব্যবস্থা বজায় রাখে, তবে অন্যান্য দেশে এই ধরনের কর্মসূচির অভাব রয়েছে, তাই খাদ্য সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন।

গবেষণায় দেখা গেছে যে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণকারী ব্যক্তিরা ভাল ইনসুলিন কার্যকারিতা এবং ভাল বিপাকীয় প্রভাব অনুভব করেন। এই গবেষণাটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেয় এবং বর্তমান খাদ্যাভ্যাসের উপর আলোকপাত করে।

তদুপরি, দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকগুলি বিপাকীয় কার্যকারিতা এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে জানা গেছে। রোগ নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ বিবরণ এখনও অজানা, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যতালিকা নিয়ে গবেষণা চলছে।

চিনি ছাড়া কফি সকালে পান করুন; 'এই' উপকার পাবেন!