সংক্ষিপ্ত
অনেকেই এখন বাড়িতেই সুগার টেস্ট করাচ্ছেন, কিন্তু এটা জানেন কি, গ্লুকোমিটারের সঠিক ব্যবহার না জানলেই আসতে পারে ভুল রেজাল্ট। যা থেকেই চরম সমস্যায় পড়তে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা।
ডায়াবিটিসের মতো কঠিন রোগে আক্রান্ত দেশের প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ। সঠিক খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপনও ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি বলে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই কারণেই অনেকেই এখন বাড়িতেই সুগার টেস্ট করাচ্ছেন, কিন্তু এটা জানেন কি, গ্লুকোমিটারের সঠিক ব্যবহার না জানলেই আসতে পারে ভুল রেজাল্ট। যা থেকেই চরম সমস্যায় পড়তে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা।
শরীরে জলের অভাব থাকলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত জল না পান করলে রক্তপ্রবাহেও শর্করার ঘনত্ব বাড়ে এবং টয়লেটও ঘন ঘন পায়।যার কারণেই শরীরে জলশূন্য হয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে হবে।অনেকেই আছেন খাওয়ার পর ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মধ্যেই সুগার পরীক্ষা করতে শুরু করেন। যার ফলে বেশি দেখায় সুগারের পরিমাপ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা মাপার আগে কমপক্ষে দু-ঘণ্টা অপেক্ষা করতেই হবে।
চেক করার আগে হাত না ধুলে ফলাফল ভুল আসতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শর্করার মাত্রা পরিমাপের সময় রক্তের প্রথম ফোঁটা আর দ্বিতীয় ফোঁটার মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ ভিন্নতা পাওয়া যায়। তাই প্রতিবার গ্লুকোমিটার ব্যবহার করার আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। অনেক রোগীরাই আছেন যারা একই সূঁচ পাঁচ থেকে ছয় বার ব্যবহার করে থাকেন। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। গ্লুকোমিটার যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি যত্নশীল হওয়াও দরকার। ভালোমানের যন্ত্র কেনা, নির্দিষ্ট সময় পর পর তার পরিমাপের নির্ভুলতা পরীক্ষা করা, ব্যাটারির দিকে খেয়াল রাখা, এবং প্রতিবার ব্যবহারের আগে যন্ত্রটি রিসেট করা প্রতিটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। ডায়াবিটি,স কমাতে গেলে খাওয়া-দাওয়াতেও বিশেষ পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন প্রোটিন, ও ফাইবার যুক্ত খাবার- ডায়াবিটিস রোগীরা ডায়েটে বেশি করে প্রোটিন, ও ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন। এবং কার্বোহাইড্রেট ও সুগারের পরিমাণ কমালে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ডায়াবিটিসকে। আটা রুটি মানেই খারাপ তেমনটা মোটেই নয়, ছোলার আটায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এবং ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যও ছোলার আটার রুটি ভীষণই উপকারী। বহু দিন ধরেই রোগীর পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বার্লি । বার্লি খেলে যেমন মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় তেমনই নানা রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ময়দা-আটা ভুলে ডায়াবিটিসের রোগীরা অনায়াসেই বার্লি খেতে পারেন।