রূপার গ্লাসে জল খেলে কী হয় জানেন? এই ধাতুর রয়েছে জাদুকরী গুণাগুণ
- FB
- TW
- Linkdin
সোনা, রুপো দিয়ে গহনা তৈরি করানোর প্রচলনই বেশি। তবে কেউ কেউ এগুলো দিয়ে জিনিসপত্রও তৈরি করান। যেমন রূপার প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি। রাজাদের আমলে সোনার থালায় খাওয়া, রূপার গ্লাসে জল খাওয়ার প্রথা ছিল বেশি।
এটি বিলাসবহুল জীবনের অধীনে আসে। তবে এই ধাতুগুলিতে ঔষধি গুণও রয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। আসলে রূপা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেকভাবেই উপকারী। তাই আজও রূপার গ্লাসে জল খাওয়ার প্রচলন অনেকের মধ্যেই আছে। আসলে রূপার গ্লাসে জল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কী কী তা এবার জেনে নেওয়া যাক।
রূপার গ্লাসে জল খেলে কী হয়?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রূপাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। তাই রূপার গ্লাসে জল কিছুক্ষণ রাখলে তা রূপার আয়নের কিছু অংশ গ্রহণ করে। এই আয়নগুলি আমাদের শরীরে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। শরীরে প্রদাহ কমে।
রূপা শীতল প্রকৃতির। রূপার গ্লাসে থাকা জল খেলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। রূপার গ্লাসে জল খেলে তাপজনিত প্রদাহ এবং অন্যান্য সমস্যা কমে।
রূপার গ্লাসে জল খেলে টিস্যু মেরামত এবং কোষের পুনর্জন্ম বৃদ্ধি পায়। এটি শরীরে প্রদাহজনিত ক্ষতি কমাতেও সাহায্য করে। এর ফলে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব। রূপাতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রূপার গ্লাসে জল কীভাবে খাবেন?
রূপার গ্লাসে জল খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা বা সারারাত রূপার গ্লাসে জল রেখে দিতে হবে। তাহলেই রূপার আয়ন জলে মিশে যাবে। এই জল আপনি সকালে বা সারাদিন ধরে খেতে পারেন।