লিভার ভাল রাখতে রোজ খান এইসব পানীয়! যকৃৎ ভাল রাখার বিশেষ টিপস জেনে নিন
হার্ভার্ড এবং স্ট্যানফোর্ডের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডাঃ সৌরভ শেঠীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন স্বাস্থ্য টিপসে ভরপুর। সম্প্রতি তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে লিভারের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন পানীয়গুলির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। লিভার আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিভার সুস্থ না থাকলে শরীরের অনেক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। এমন অনেক পানীয় আছে যা আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে আবার কিছু পানীয় লিভারের ক্ষতি করে। আসুন জেনে নেই ডাক্তার সৌরভ শেঠী কোন পানীয়গুলিকে লিভারের জন্য ভালো বলেছেন এবং কোন পানীয়গুলি লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
লিভারের জন্য ভালো-মন্দ পানীয়
প্যাকেটজাত ফলের রস: ১/১০ চিনিযুক্ত চা: ২/১০ তাজা ফলের রস: ৪/১০ সবুজ স্মুদি: ৫/১০ লেবুর শরবত: ৬/১০ বিটের রস: ৭/১০ চিনি ছাড়া সবজির রস: ৮/১০ ব্ল্যাক কফি: ৯/১০ পানি: ১০/১০
লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পানীয়
ডাক্তার শেঠী বলেছেন, অনেকেই মনে করেন তারা যে পানীয় পান করছেন তা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কিন্তু বাস্তবে তা সবসময় সত্য নয়। কিছু পানীয় লিভারকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে ক্ষতি করে। ডাক্তার শেঠী ৯টি পানীয়কে ১০ এর মধ্যে নম্বর দিয়েছেন।
পানিকে তিনি সর্বোচ্চ ১০ নম্বর দিয়েছেন। পানি শরীরের বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয় এবং লিভারের কাজের চাপ কমায়। এরপর ব্ল্যাক কফি, চিনি ছাড়া সবজির রস, বিটের রস, লেবুর শরবত, সবুজ স্মুদি এবং ফলের রস।
আপনারা জেনে অবাক হবেন যে ডাক্তার শেঠী দোকান থেকে কেনা প্যাকেটজাত ফলের রসকে মাত্র এক নম্বর দিয়েছেন। চিনিযুক্ত চা পেয়েছে ২ নম্বর। এ থেকে স্পষ্ট যে চিনিযুক্ত পানীয় লিভারের জন্য ক্ষতিকর। প্রাকৃতিক এবং চিনি ছাড়া পানীয় লিভারের জন্য ভালো। যদি আপনি অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় পান করেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনার লিভারের সমস্যা হতে পারে।
শরীরে লিভারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ
লিভার শরীরে ৫০০ টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এটি শরীরের টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। পিত্ত তৈরি করে খাবার হজমে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সঞ্চয় করে, অ্যালকোহল এবং ওষুধ ভেঙে ফেলে। লিভার खराब হলে শরীরের অনেক কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাচনতন্ত্রের সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ফ্যাটি লিভার, সিরোসিসের মতো গুরুতর রোগ হতে পারে। তাই সুষম খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। আপনার অ্যালকোহল এবং চিনিযুক্ত খাবার সীমিত করা উচিত।


