কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য জরুরি। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত অস্বাস্থ্যকর ভাজাভুজি খাওয়া ঠিক নয়। জেনে নিন কোন কোন খাবারগুলিতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকলেও তা স্বাস্থ্যকর।

শরীর ভাল এবং সুস্থ রাখার জন্য কার্বোহাইড্রেট ততটাই জরুরি, যতটা জরুরি ফ্যাট, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। জেনে নিন কোন কোন খাবারগুলিতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকলেও তা স্বাস্থ্যকর।

ডায়েট মানেই কার্বোহাইড্রেট একেবারে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে খাদ্য তালিকা থেকে এমনটা নয়। তবে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত অস্বাস্থ্যকর ভাজা ভুজি বেশি খেতে অবশ্যই বারণ করেন পুষ্টিবিদেরা। কারণ কাজ করার জন্য এনার্জি বা শক্তি জোগায় কার্বোহাইড্রেট। শরীর ভাল এবং সুস্থ রাখার জন্য কার্বোহাইড্রেট ততটাই জরুরি, যতটা জরুরি ফ্যাট, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ।

কার্বোহাইড্রেট এখন ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ এবং অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার কারণ হিসেবে অভিযুক্ত। প্রকৃতপক্ষে, জাঙ্কফুডে প্রায়শই কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে, বিশেষ করে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট। তবে এমন অনেক খাবার আছে, যাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকলেও তা অস্বাস্থ্যকর নয়।

১. কিনোয়া

কিনোয়াকে বলা হয় সুপারফুড। অথচ রান্না করা কিনোয়ায় ৭০ শতাংশই থাকে কার্বোহাইড্রেট। তবে কিনোয়া সম্পূর্ণ গ্লুটেন মুক্ত। তাই ভাত রুটির তুলোবায়ে কিনোয়া খাওয়া অনেকটা স্বাস্থ্যসম্মত।

২। ওটস

সাধারণ মাপের এক বাটি ওটসে প্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকে ৫৪ গ্রাম। তবে তার সঙ্গে থাকে উপকারী ৮ গ্রাম ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ওটসও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৩। কাবুলি ছোলা

রান্না করা ১০০ গ্রাম কাবলি ছোলায় থাকে ৪৫ গ্রাম শর্করা। কিন্তু তাতে কি! ওই কাবলি ছোলায় যেমন ফাইবারের মাত্রা থাকে বেশি, তেমনই থাকে প্রোটিন, আয়রন। যা শরীর ভাল রাখার পাশপাশি ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকরী।

৪। কলা

মাঝারি মাপের একটি পাকা কলায় ৩১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। কিন্তু তার সঙ্গে থাকে জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬। যা পেট অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৫। রাঙা আলু

১০০ গ্রাম রান্না করা রাঙা আলুতে থাকে ২১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। তার সঙ্গে ফাইবার, ভিটামিন এ, সি এবং পটাসিয়াম থাকে রাঙা আলুতে। এই আলু ওজন কমানোর ডায়েটে বা ডায়াবেটিসের ডায়েতে রাখতে পারেন অনায়াসে।

৬। বিট

এক কাপ বিটে প্রায় ১০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। তবে, এই সবজি ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্তাল্পতার মতো একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় বিট।