- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- নতুনের মতো ঝকঝক করবে পুরোনো সোনার গয়নাও, কীভাবে করবেন পরিচর্যা, রইল টিপস
নতুনের মতো ঝকঝক করবে পুরোনো সোনার গয়নাও, কীভাবে করবেন পরিচর্যা, রইল টিপস
সোনার গয়নার ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখার সহজ কিছু উপায়। দৈনন্দিন ব্যবহার্য গয়না, আংটি, নাকফুল ইত্যাদি কীভাবে পরিচর্যা করবেন জেনে নিন।

সোনার গয়না পরলে নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। বিবাহিত পুরুষরা যদি তাদের স্ত্রীকে কাপড়ের দোকানের চেয়ে গয়নার দোকানে নিয়ে যান, তাহলে দাম্পত্য কলহ থাকবে না। সোনার গয়না কেনার পর যত্ন সহকারে ব্যবহার করলে অনেক বছর ধরে ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকে। দৈনন্দিন ব্যবহার্য গয়না নষ্ট হওয়া থেকেও রক্ষা পায়।
সোনার চেইন, দুল, নাকফুল ইত্যাদি সাধারণত নষ্ট হয় না, তাই দৈনন্দিন ব্যবহারেও এগুলির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু, হাতের বালা, আংটি ইত্যাদি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাসন মাজার সময় বালা ঘষা লেগে নষ্ট হতে পারে।
দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য বালা কিনলে একটু বেশি টাকা খরচ করে ভারী বালা কেনা উচিত। সাধারণ ডিজাইনের হলে ভালো। হালকা ওজনের, নকশা করা বালা রান্নাঘরের কাজ বা অফিসের কাজে ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ভেঙে যেতে পারে। তাই এ ধরনের বালা শুধু বাইরে যাওয়ার সময় পরে, বাড়ি ফিরে খুলে রাখাই ভালো। নকশা করা বালা ত্বকেও সমস্যা করতে পারে।
নকশা করা বালা পরলে বাচ্চাদের কোলে নেওয়ার সময় সাবধান থাকা জরুরি। অনেকের পক্ষে বেশি গ্রামের সোনার বালা কেনা সম্ভব হয় না। তারা এক ভরি বা দেড় ভরির বালা কিনতে পারেন। কিন্তু, হালকা ওজনের এই বালাগুলি সহজেই বেঁকে যেতে পারে, তাই গয়নার দোকান থেকে প্লাস্টিকের বালা ভিতরে লাগিয়ে নেওয়া যায়। এতে সোনার বালা শক্ত থাকে, নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পায়।
নকশা করা এবং নানা রঙের পাথর বসানো আংটি নিয়মিত ব্যবহার না করাই ভালো। কৃষিকাজ, বাসন মাজা, বাড়ির কাজ, অফিসের কাজ ইত্যাদিতে নকশা করা আংটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই, সাধারণ ডিজাইনের আংটি নিয়মিত ব্যবহারের জন্য রাখা উচিত।
নাকফুলের ক্ষেত্রে পাথর বসানো নাকফুলই বেশিরভাগের পছন্দ। নিয়মিত ব্যবহারের ক্ষেত্রে, তেল মাখার দিনে নাকফুল খুলে রাখাই ভালো। এতে নাকফুলের পাথরে তেল লাগবে না। নাকফুলের ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকবে। পাথর বসানো দুল-সহ সব গয়নার ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
সোনার চেইন কালচে হয়ে গেলে, শ্যাম্পু মেশানো জলে ভিজিয়ে ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করুন। ময়লা, তেল ইত্যাদি দূর হয়ে যাবে। শ্যাম্পুতে রাসায়নিক থাকে, তাই গয়না ভালো করে ধুয়ে নেওয়া জরুরি। চেইনের মতো বালাও এভাবে পরিষ্কার করা যায়। পাথর বসানো বালা সাধারণ জলে হালকা করে ধুয়ে নরম কাপড় দিয়ে মুছে ব্যবহার করুন।
সোনার গয়না পরিষ্কার করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা। অনেকেই স্টিলের আলমারিতে গয়না রাখেন। কিন্তু, কাঠের আলমারিতে রাখাই ভালো। কাঠের আলমারি না থাকলে, গয়না কাঠের বাক্সে রেখে, সেই বাক্স স্টিলের আলমারিতে রাখতে পারেন। এতে গয়নার ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকে, রঙ অপরিবর্তিত থাকে। গয়না কেনার সময় একটা গয়নার বাক্স কিনে তাতে গয়না রাখা যেতে পারে।

