সংক্ষিপ্ত

কোনও কাজ করলেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, জল তেষ্টা পাচ্ছে বারবার। চিকিৎসকদের মতে, বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া কিন্তু বড় রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। 

গরম পড়তে না পড়তেই জল খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যায়। কোনও কাজ করলেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, জল তেষ্টা পাচ্ছে বারবার। চিকিৎসকদের মতে, বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া কিন্তু বড় রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত ডিহাইড্রেশন। শরীরে যখন জলের মাত্রা কমে যায় তখনই গলা শুকোতে থাকে বারংবার।  বেশি ঘাম হওয়া, পেট খারাপ ইত্যাদির জেরেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনই কিন্তু মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। রোজই যদি এমন হতে থাকে, তাহলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কোনও ব্যক্তি অতিরিক্ত জল পান করেন তখনই যখন শরীরে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। এছাড়াও বমি বমি ভাব বা বমির মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে।  অনেকের আবার বারবার প্রস্রাবও পেতে পারে। তবে বেশ কিছু রোগ রয়েছে যার মধ্যে পলিডিপসিয়া অর্থাৎ অতিরিক্ত তেষ্টা পাওয়াই প্রধান লক্ষণ। ডায়াবিটিসের একটি অন্যতম উপসর্গ হল গলা শুকিয়ে যাওয়া। অতিরিক্ত পরিমাণে মূত্রের জেরে শরীরে জলের সমতা থাকে না। যার ফলে গলা শুকিয়ে আসে। সেপসিস-এর মতো ভয়ানক রোগেরও উপসর্গ এটি। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থেকে শরীরে ইনফেকশনের ফলে গলা প্রায় শুকিয়ে যায়। হার্ট, কিডনি অথবা লিভার তার কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করলেও এই সমস্যাগুলি হতে পারে।

যারা অবসাদে ভোগেন তাদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপে ভুগলে তাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীরে জলের মাত্রা ঠিক থাকে না। যার ফলেও অনেকসময় গলা শুকিয়ে যায়। শরীরে যখন জলের মাত্রা কমে যায় তখনই গলা শুকোতে থাকে। ডিহাইড্রেশন বা বদহজম যেমন এর অন্যতম কারণ। শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন কিন্তু মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। বেশি ঘাম হওয়া, পেট খারাপ ইত্যাদির জেরেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তবে হজমের সমস্যা ছাড়াও বেশ কিছু অসুখের কারণেও ঘুমের মধ্যে গলা শুকিয়ে যায় । বারংবার এমন হলে এখনই সাবধান হোন।  অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার খেলে গলা শুকিয়ে যেতে পারে। সর্দি হলে বা নাক বন্ধ থাকলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে সহজেই মুখের ভিতর শুকিয়ে যায়। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করেন তাদেরও বেশি মাত্রায় জল তেষ্টা পায়। অ্যালকোহল শরীরকে শুষ্ক করে তোলে যার ফলে শরীরে জলের চাহিদা বাড়ে।