লক্ষ্মী পূজার পরের দিন রান্নাঘর অগোছালো হয়ে থাকলে মাথায় করে হাত। থেকে তে কি কি উপায়ে করবেন আপনার রান্নাঘর পরিষ্কার দেখে নিন।
রান্নাঘর বাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ৷ রান্নাঘর সুন্দর রাখলে মানসিক শান্তি আসে ৷ একসময় বাড়ির বড়রা রান্নাঘরে বেশি সময় কাটাতেন ৷ এখন ব্যস্ত জীবনে রান্নাঘরের সময় অফিসের তাড়ায় কমে গিয়েছে ৷ তবে রান্নাঘর গুছিয়ে রাখলে রান্না করার ইচ্ছা যেন বেড়ে যায় ৷ তারমধ্যে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো তে বাড়িতেই ভোগ রান্না ব্যবস্থা করেন অনেকেই। রান্নাঘর এক প্রকার মেস হয়ে যায়। খিচুড়ি, লাবড়া, পায়েস, লুচি আর কত কি , সব মিলিয়ে তেল চিটে চারিদিক। এবার উপায় কি ? কিভাবে পরিষ্কার করা যায় মাথায় হাত ?
এবার তাহলে এইসব বিষয় মিলিয়ে টিপটপ রাখার চাবিকাঠি সবার প্রথম কিচেনের বেসিন পরিষ্কার রাখা ৷ কারণ, বেসিন অপরিষ্কার থাকলে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে ৷ জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে ৷
রান্না শেষে পাত্র, চামচ, কড়াই—সব একসঙ্গে ফেলে রাখলে জায়গা অগোছালো হয়ে যায়। প্রথমে আলাদা করুন ব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় জিনিস। ময়লা থালা ও হাঁড়ি এক পাশে রাখুন, খাবারের উচ্ছিষ্ট ঢেকে রাখুন যাতে মাছি না বসে। এতে পরিষ্কার করা সহজ হবে।
গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন তেলচিটে পাত্র , যে পাত্রে লাবড়া বা পায়েস রান্না হয়েছে, তাতে তেল বা দুধের আস্তর লেগে যায়। সরাসরি ধোয়ার চেষ্টা না করে আগে গরম জলে সামান্য লেবুর রস ও ডিশওয়াশিং লিকুইড মিশিয়ে তাতে ডুবিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। তেলচিটে আস্তর আলগা হয়ে যাবে, ধোয়া সহজ হবে।
গ্যাসের তেলচিটে ভাব তুলবেন কীকরে ভাবছেন, তাই তো ? গ্যাস ও টাইলসে লেগে থাকা তেল তুলতে দারুন কাজ করে বেকিং সোডা ও ভিনিগারের মিশ্রণ। একটি স্প্রে বোতলে দুটো মিশিয়ে স্প্রে করুন, ৫ মিনিট রেখে ভেজা কাপড়ে মুছে নিন। চুলা ও দেওয়াল হয়ে উঠবে একেবারে নতুনের মতো।
কাউন্টারটপে ব্যবহার করুন লেবুর রস ও লবণ। এতে লেবুর প্রাকৃতিক অ্যাসিড তেল ও ময়লা গলাতে দারুণ কাজ করে। কাউন্টার বা কাঠের বোর্ডে যদি তেলের দাগ লেগে থাকে, সেখানে লেবুর রস ছিটিয়ে তার ওপর সামান্য লবণ ঘষুন। কয়েক মিনিট পর ভেজা কাপড়ে মুছে ফেললে চকচকে হয়ে উঠবে পৃষ্ঠ।
এক্সহস্ট ফ্যান বা চিমনি পরিষ্কার রাখুন। পুজোর পদিন তেলচিটে হওয়ার পর যা অবস্থা হওয়ার কথা।পুজোর রান্নায় ঘন ধোঁয়া ও তেল জমে এক্সহস্টে। সপ্তাহে অন্তত একবার ফিল্টার খুলে গরম জল, ভিনিগার ও বেকিং সোডা মিশিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তেল জমে থাকা অংশ ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে বাতাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে এবং গন্ধও কমবে।
পুজোর পরদিন মেঝে যেন একটা আঠা বা চিটে ভাব থেকে যায়। সেক্ষেত্রে মেঝে পরিষ্কারে ব্যবহার করুন ডিটারজেন্ট ও ভিনিগারের মিশ্রণ – তেল বা ঘি পড়লে মেঝে পিচ্ছিল হয়। এক বালতি গরম জলে এক কাপ ভিনেগার ও অল্প ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মেঝে মুছুন। এতে তেলচিটে ভাবও যাবে, আবার জীবাণুও ধ্বংস হবে। সব রান্না শেষে একসঙ্গে পরিষ্কার করলে ক্লান্তি বেড়ে যায়। তাই প্রতিটি রান্না শেষে চুলা ও ব্যবহার করা স্থান হালকা ভেজা কাপড়ে মুছে নিন। এতে জমে থাকা তেল বা ময়লা শক্ত হয়ে যাওয়ার আগেই উঠে যাবে।
দুর্গন্ধ দূর করতে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপায়ে – রান্নার শেষে অনেক সময় ঘরে ভাজাভুজির গন্ধ থেকে যায়। এক কাপ জলে লেবুর খোসা ও কয়েকটি লবঙ্গ ফোটান। বাষ্প পুরো রান্নাঘরে ছড়িয়ে দিন—তাতে ঘর সুগন্ধী ও সতেজ হয়ে উঠবে।


