সংক্ষিপ্ত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা-সহ বাংলাদেশে মূলত বাংলাভাষী মানুষের বাস। ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও বাংলাভাষী মানুষ রয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিনটির সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িয়ে রয়েছে বাংলা ভাষা। কারণ,১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার দাবিতেই আন্দোলন হয়েছিল। প্রাণ দিয়েছিলেন বহু মানুষ। শহিদ আবুল বরকত, আবদুল জব্বর, আবদুস সালাম-সহ বহু মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতেই ২১ ফেব্রুয়ারি দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশে এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়। তবে ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গেও এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগেই জেনে নিন এই ভাষায়তে গোটা বিশ্বে আর এই দেশে ঠিক কতজন মানুষ কথা বলেন।
বিশ্বে বাংলাভাষীর সংখ্যাঃ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা-সহ বাংলাদেশে মূলত বাংলাভাষী মানুষের বাস। ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও বাংলাভাষী মানুষ রয়েছে। বিশ্বে বাংলা ভাষী মানুষের সংক্যা ২৫০ মিলিয়ন। বিশ্বের ১০টি শীর্ষস্থানীয় ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষার স্থান সপ্তমে। প্রথম ভাষা হিসেবে রয়েছে ইংরেজি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ম্যান্ডারিন চাইনিজ, তারপরে রয়েছে হিন্দি, স্প্যানিস, ফরাসি, আরবি। তারপরেই বাংলাভাষা। বিশ্বের মিষ্টি শুনতে লাগা ভাষাগুলির মধ্যে অন্যতম হল বাংলা। যদিও ২০২৩ সালের শুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৭ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলায় কথা বলেন। বিশ্বে এই সংখ্যা ২৮ কোটি ৫০ লক্ষ।
ভারতে বাংলাভাষীর সংখ্যাঃ
ভারতেও বাংলাভাষীর সংখ্যা কম নয়। এই দেশে সবথেকে বেশি মানুষ কথা বলেন হিন্দিতে। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে বাংলা ভাষা। ভারতে প্রায় ৯ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। যা ভারতের মোট জনসংখ্যায় প্রায় ৮.৩০ শতাংশ।
মাতৃভাষা দিবসঃ
১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি রফিকুল ইসলাম নামের কানাডা প্রবাসী বাঙালি রাষ্ট্রসংঘের তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারি কোফি আন্নানকে একটি চিঠি লিখে ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তারপর ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকেই রাষ্ট্র সংঘের সদস্যগুলি এই দিনটি পালন করছে। তবে ১৯৫২ সালের পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি বাংলাদেশে জাতীয় শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।