সংক্ষিপ্ত

ভীষণ উপকারী লেবুর খোসা! এর চমৎকার গুণে কী কী হতে পারে? জেনে নিন

প্রতিটি বাড়িতেই লেবু থাকে। আমরা বিভিন্ন রান্নায় লেবু ব্যবহার করি। অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবুর রস পান করেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি তৃষ্ণাও নিবারণ করে। তাই, বড় থেকে ছোট সবাই লেবুর রস পান করতে পছন্দ করেন।

লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। এছাড়াও, লেবুতে পটাশিয়ামও থাকে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লেবুর রসে লবণ এবং সামান্য পানি মিশিয়ে গার্গল করলে মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর হয়।

সাধারণত, আমরা লেবু থেকে রস বের করে খোসা ফেলে দিই। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এই খোসাও আমাদের জন্য উপকারী। হ্যাঁ, লেবুর খোসা থেকে আমরা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি। আসুন দেখে নেওয়া যাক।

লেবুর খোসার পুষ্টিগুণ

আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু লেবুর খোসায় লেবুর রসের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ থাকে। অর্থাৎ, লেবুর খোসায় লেবুর রসের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকে।

লেবুর খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা

চোখের জন্য ভালো: লেবুর খোসা চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এই খোসায় থাকা ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিনয়েড চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এই খোসায় ভিটামিন থাকে যা বয়স্কদের চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে: লেবুর খোসায় ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। এটি ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের আলসার দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। এজন্য লেবুর খোসা ক্ষতস্থানে ঘষুন।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: লেবুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে। লেবুর খোসা কাঁধের নিচে ঘষলে ঘাম এবং দুর্গন্ধ দূর হয়। এছাড়াও, পানিতে লেবুর খোসা ফুটিয়ে সেই পানিতে কটনের কাপড় ভিজিয়ে কাঁধে লাগালেও দুর্গন্ধ দূর হয়।

ব্রণ দূর করে: লেবুর খোসায় কীটনাশক গুণও আছে। এজন্য খোসা এবং পুদিনা পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর এই পানি মুখে লাগান। এতে ব্রণ হবে না।

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ভালো: লেবুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। অর্থাৎ, এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকর। এছাড়াও, এই খোসা আলসার নিরাময় করে এবং ওজন বৃদ্ধি রোধ করে।

কোলেস্টেরল কমায়: লেবুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই খোসায় থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরে জমে থাকা কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

হাড় মজবুত করে: লেবুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকে। এগুলো হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, লেবুর খোসা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, এটি আমাদের ক্যান্সার এবং শরীরের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। লেবুর খোসার এত উপকারিতা থাকায় এগুলো আর ফেলে দেবেন না। বরং ভালোভাবে ব্যবহার করুন।