সংক্ষিপ্ত

ভিডিওর নামটা শুনে খানিকটা হয়েতো আন্দাজ করতে পারছেন। তবে দুই ক্ষুদের সাধারণ কাজ বড়দের অনেক বড় শিক্ষা দেয়। তবে যদি বড়রা বা আমরা এর থেকে শিক্ষা পেতে চাই তো।

 

জীবনে চারিপাশে কত কি ঘটে চলেছে। তার মধ্যে কটা ভালো জিনিস চোখে পড়ে বলুন তো। খবরের পাতায় শিরোনামে সব আতঙ্ক ও দুঃখের খবরে ভর্তি। এরই মধ্যে এমন বেশ কিছু ঘটনা চোখে পড়ে যা আপনার মনে দাগ ফেলে দেয়। বা হঠাৎ করেই হাসি মুখে চোখের কোনা চিকচিক করে ওঠে।

এমনই এক ঘটনা বা দৃশ্য বলাই ভালো চোখে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই রিলসের নাম দেওয়া হয়েছে 'লাঞ্চ বক্স ডোনেশন'। নামটা শুনে খানিকটা হয়েতো আন্দাজ করতে পারছেন। তবে দুই ক্ষুদের সাধারণ কাজ বড়দের অনেক বড় শিক্ষা দেয়। তবে যদি বড়রা বা আমরা এর থেকে শিক্ষা পেতে চাই তো।

ভিডিওটায় দেখা যায় দুই খুদে স্কুল পড়ুয়া রাস্তায় থাকা শীর্ণকায় পথ কুকুরদের দুর্দশা দেখে নিজেদের টিফিন বক্স-এর পুরও খাবারটাই তাকে খেতে দিয়ে দেয়। কুকুরটাও লেজ নাড়াতে নাড়াতে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। রাস্তায় পড়ে থেকে একটি কাগজের উপর নিজের ভাগের খাওয়া উপুড় করে ঢেলে দেয় সমস্তটাই।

শিশু বলেই হয়তো শীর্ণকায় পথ কুকুরদের অবস্থা দেখে এড়িয়ে চলে যেতে পারেনি। আমরা রাস্তায় যাওয়ার পথে সহজেই যেই দৃশ্য দেখলেও মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে পারি, ছোটরা সেটা পারে না। ওদের চোখ ওদের মন ওটাই টানে যা বড়দের থাকা দরকার।

এই রকম বহু শিশু আছে যাদের এই নিষ্পাপ মনের জোড়েই বেঁচে আছে এই পৃথিবীটা। এত হিংসা দলাদলি ও হানাহানির ভিড়ে সাধারন এই একটি ঘটনা মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের। আর মন ছোঁবেই বা না কেন, কারণ আজকের সময়ে এই ধরণের দৃশ্য ক্রমেই বিরল হয়ে আসছে।

তাই মন বলে বার বার দেখার সুযোগ পাই এমনই 'লাঞ্চ বক্স ডোনেশন'-এর দৃশ্য। যত এই দৃশ্যের সংখ্যা বড়বে ততই হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকা আশা জোগাবে এরা। বেঁচে থাক শিশু মন, বেঁচে থাক ওদের এই শৈশব। ওদের স্পর্শেই দূর হোক কলুষিত পৃথিবীর অন্ধকার স্তর।