হিন্দু ধর্মে, সমস্ত দেবদেবীর মধ্যে মহাদেবের স্থান সর্বোচ্চ। তাঁকে শিব, ত্রিলোকী এবং শঙ্কর নামেও ডাকা হয়। ভক্তরা মহা ধুমধাম করে মহাদেবকে উৎসর্গীকৃত মহাশিবরাত্রিতে তাঁর পূজা করেন এবং প্রসাদ অর্পণ করেন।
মহাশিবরাত্রি ২০২৫ প্রসাদ : মহাশিবরাত্রি ভগবান শিবের উপাসনার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে, ভক্তরা ভোলেনাথকে প্রসন্ন করার জন্য উপবাস করেন এবং বিশেষ প্রার্থনা করেন। ভগবান শিবকে প্রসন্ন করার জন্য তাঁর পছন্দের প্রসাদ অর্পণ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। মহাশিবরাত্রিতে কোন ৫টি প্রসাদ দেওয়া হয় যাতে ভগবান শঙ্করের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। সে সম্পর্কেই আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বেলপাতা এবং জল
ভগবান শিবের খুব প্রিয় বেলপাতা। শিবলিঙ্গে বেলপাতা অর্পণ করলে ভগবান শিব প্রসন্ন হন। এছাড়াও, গঙ্গাজল অথবা বিশুদ্ধ জল অর্পণ করলেও ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এটি উপাসনার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি।
ধুতুরা এবং ভাং
ধুতুরা এবং ভাং ভগবান শিবের খুব প্রিয়। এই প্রসাদ অর্পণ করলে সব ধরণের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। এই প্রসাদ ভগবান শিবকে বিশেষ খাবার অর্পণ করার ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত।

দুধ এবং পঞ্চামৃত
শিবলিঙ্গে দুধের অভিষেক করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, শিবলিঙ্গে পঞ্চামৃত (দুধ, দই, ঘি, মধু এবং গঙ্গাজলের মিশ্রণ) অভিষেক করলে ভক্তরা বিশেষ আশীর্বাদ পান।
গুড় এবং তিল
ভগবান শিবকে গুড় এবং তিল দিয়ে তৈরি লাড্ডু অথবা প্রসাদ অর্পণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। এটি কেবল স্বাস্থ্যকরই নয়, ভগবান শিবেরও প্রিয়। এই প্রসাদ অর্পণ করলে জীবনে আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি আসে।
মধু
ভগবান শিবকে মধু অর্পণ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। শিবলিঙ্গে অর্পণ করলে ব্যক্তির জীবনে মিষ্টতা এবং ইতিবাচকতা বজায় থাকে।
(দাবিত্যাগ : এই লেখার মাধ্যমে কেবলমাত্র তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে Asianet News কোন দাবি বা সমর্থন করে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
