সংক্ষিপ্ত
মাম্পসের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ে ছোটরা! প্রথম থেকে সতর্ক থাকতে এই রোগের লক্ষণ জেনে নিন
মালাপ্পুরম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গালফোলা রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে। এই বছর এখনও পর্যন্ত জেলায় ১৩,৬৪৩ টি গালফোলা রোগের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।
মাম্পস কী? এর লক্ষণগুলি কী?
গালফোলা, মাম্পস নামে পরিচিত এই রোগটি একটি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়।
গালফোলা রোগ প্যারামিক্সোভাইরাস থেকে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির উপরের শ্বাসনালীর সরাসরি সংস্পর্শ বা বাতাসের মাধ্যমে এটি ছড়ায়।
সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা চোয়াল, পেশী ব্যথা, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি এবং ক্ষুধামন্দা হল লক্ষণ। দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণগুলি দেখা দেয়। লালা গ্রন্থির ফোলাভাব এই রোগের প্রধান লক্ষণ। সাধারণত ছোট বাচ্চাদের মধ্যে দেখা গেলেও, কিশোর-কিশোরী এবং প্রাপ্তবয়স্করাও এই সংক্রমণের শিকার হতে পারে।
মুখ খোলা, খাবার চিবানো এবং জল গিলতে অসুবিধা হওয়াও গালফোলা রোগের লক্ষণ। লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিন।
এমএমআর বা এমএমআরভি টিকা নেওয়া গালফোলা রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়। প্রথম ডোজ সাধারণত ১২-১৫ মাস বয়সে এবং দ্বিতীয় ডোজ ৪-৬ বছস বয়সে দেওয়া হয়।
দুটি ডোজ নেওয়ার পর টিকা গালফোলা রোগের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৮% সুরক্ষা প্রদান করে বলে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা জানিয়েছে।
লালা গ্রন্থি ফুলে উঠার ৫ দিন পর্যন্ত অন্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে বিশ্রাম নিন। রোগীদের সাথে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। অসুস্থ বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো একেবারেই বন্ধ করুন। রোগীরা সাবান এবং জল দিয়ে নিয়মিত হাত ধুবেন। কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় টিস্যু দিয়ে মুখ এবং নাক ঢেকে রাখুন।