আলুবোখারা খেলে ওজন কমবে? জেনে নিন এই ফলের কিছু চরম উপকারিতা
ওজন কমানোর খাবার বলতেই আমাদের মনে আসে কম ক্যালোরি, উচ্চ ফাইবার এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী খাবার। আলুবোখারা এমন একটি ফল যা প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিতে ভরপুর, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং বিপাক ক্রিয়া উদ্দীপিত করে। আলুবোখারার কম ক্যালোরি, উচ্চ ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি পেট ভরা রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে আলুবোখারা :
১. কম ক্যালোরি :
একটি আলুবোখারায় গড়ে ৩০-৪০ ক্যালোরি থাকে। এটি সাধারণ জাঙ্ক ফুডের তুলনায় অনেক কম। তীব্র ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি আলুবোখারা খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২. উচ্চ ফাইবার :
একটি আলুবোখারায় প্রায় ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। এটি অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। খাবার পর দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। পানি বেশি থাকায় বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়।
৩. প্রাকৃতিক চিনি :
আলুবোখারায় প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকায় এটি কৃত্রিম চিনির বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সাধারণ মিষ্টির পরিবর্তে আলুবোখারা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়, শরীরের চর্বি কমায়। ওজন কমানোর সময় কৃত্রিম চিনি এড়াতে আলুবোখারা খাওয়া ভালো।
৪. বিপাক ক্রিয়া উদ্দীপিত করে :
আলুবোখারায় থাকা পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি পেয়ে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় না। শর্করার বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। খাবার সঠিকভাবে শরীরে ব্যবহারের জন্য বিপাক ক্রিয়া উদ্দীপিত করে এমন খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫. উচ্চ পানি :
আলুবোখারায় ৮৫% পানি থাকে। শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। খাবার পর ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, তরতাজা রাখে।
বেশি পানি সমৃদ্ধ ফল শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। পানিশূন্যতা এড়াতে আলুবোখারা খেলে শরীর সতেজ থাকে।
৬. চর্বি কমায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট:
আলুবোখারায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি বেশি থাকায় শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। শরীরের কোষ সুরক্ষিত রাখে, রোগ প্রতিরোধ করে। মাংসপেশীর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শরীরের চর্বি কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে আলুবোখারা ভালো বিকল্প।
আলুবোখারা ওজন কমাতে ব্যবহারের পদ্ধতি :
সকালের নাস্তায় – খালি পেটে খেলে বিপাক ক্রিয়া উদ্দীপিত হয়।
বিকেলের নাস্তায় – বিস্কুট, চিপসের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়।
সালাদে যোগ করে – শাক, কুমড়া, ডিম, ওটস ইত্যাদির সাথে খাওয়া যায়।
স্মুদি হিসেবে – আলুবোখারা, দই, মধু মিশিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি করা যায়।
