সংক্ষিপ্ত

নীরবে দানা বাঁধতে পারে প্রস্টেট ক্যান্সার! এই রোগের লক্ষণ না জানলেই বিপদে পড়তে পারেন

প্রোস্টেট গ্রন্থি মূত্রথলির ঠিক নীচে অবস্থিত একটি আখরোট আকৃতির গ্রন্থি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রন্থিটি আকারে বড় হয়ে গেলে এটি প্রস্রাবের সমস্যা ঘটায়। বিশেষ করে প্রস্রাবের প্রবাহ হ্রাস, প্রস্রাব করার জন্য চাপ অনুভূত হয়। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, ৮ জন পুরুষের মধ্যে প্রায় একজনের প্রোস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে।

মাহিমের এসএল রাহেজা হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ইউরোলজিস্ট ডাঃ আনন্দ উত্তুরে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ৬৫ বছর বয়সের পরে প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, তবে এটি অল্প বয়সীদের মধ্যেও হতে পারে এবং এই বয়সে প্রস্টেট ক্যান্সার আরও আক্রমণাত্মক হয়।

এই রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যা সাধারণত চোখে পড়ে না। এবং নীরবেই বেড়ে যেতে থাকে রোগটি। দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে শরীরে। এই লক্ষণগুলো হল প্রস্রাব বা বীর্যের সঙ্গে রক্ত, নিতম্ব, পিঠ, বুক বা অন্যান্য হাড়ে ব্যথা।

এ ছাড়াও পুরুষরা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন অনুভব করতে পারেন। যদি প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয় এবং মলদ্বারে চাপ দেয় তবে কোষ্ঠকাঠিন্যও অনুভব করতে পারেন অনেকে। এই রোগ দেখা গেলে পুরুষদের ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধা হ্রাস হবে। ৬৫ বছর বয়সের পর পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই সমস্যা জিনগতও হতে পারে। তাই বাড়ির কারও থাকলে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। এবং অল্প লক্ষণ দেখা দগেলেই সাবধান হতে হবে।

ডাঃ আনন্দ উত্তুরের মতে, ইউরোলজিস্ট পার রেকটাল ফিঙ্গার টেস্ট এক্সামিনেশন (ডিআরসি), রক্তের পিএসএ লেভেল, মাল্টিপ্যারামেট্রিক প্রোস্টেট এমআরআই এবং প্রোস্ট্যাটিক বায়োপসির মতো সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রোস্টেট ক্যান্সার নির্ণয় করা যেতে পারে। প্রোস্টেট ক্যান্সার একটি গুরুতর রোগ, তবে প্রাথমিক সনাক্তকরণের ফলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। প্রোস্টেট ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ধরা পড়লেই রোগীদের ৫ বছর বেঁচে থাকার প্রবণতা ৯৭ শতাংশ। তাই অল্প লক্ষণ দেখা গেলেই বা প্রস্রাবে জ্বালা অনুভব হলেই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।