রাত জাগলে কী কী রোগ হতে পারে জানেন? সারা রাত ফোন ঘাঁটা বন্ধ না করলে মৃত্যু ডেকে আনবেন
পর্যাপ্ত ঘুম শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের শরীর প্রাকৃতিকভাবে ২৪ ঘন্টার ছন্দ অনুযায়ী কাজ করে। রাত জাগলে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেউ কাজের জন্য, কেউ বিনোদনের জন্য, আবার কেউ মানসিক চাপের কারণে রাত জাগার অভ্যাস করে। কিন্তু এই অভ্যাস অনেক মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। আপনারও যদি রাত জাগার অভ্যাস থাকে, তাহলে কী কী রোগ হতে পারে তা জেনে নিন।
হৃদরোগ :
রাতে অনিয়মিত ঘুম হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে রক্তচাপ বেড়ে যায়। হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ পড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস :
রাত জাগলে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয় এবং ডায়াবেটিস (টাইপ ২) হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মানসিক সমস্যা :

ঘুমের অভাব মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা এবং বিষণ্ণতা (ডিপ্রেশন) জন্য কারণ হতে পারে। এটি স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগের উপর প্রভাব ফেলে।
ক্যান্সার :
ঘুমের ব্যাঘাত শরীরের কোষগুলোর স্বাভাবিক কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটায়। বিশেষ করে, রাতের বেলা কাজ করলে স্তন ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ওজন বৃদ্ধি :
রাত জাগার জন্য অনেক খাবার খাওয়ার অভ্যাস হয়। এতে ওজন বৃদ্ধি এবং মেটাবলিজম কমে যায়। শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়ায় ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস :
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে সাধারণ জ্বর থেকে শুরু করে গুরুতর ভাইরাল রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পাচনতন্ত্রের সমস্যা
সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে পাচন ক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতে অম্বল, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
উপায় কী ?
* নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান।
* মোবাইল এবং কম্পিউটারের আলো কমিয়ে দিন। ঘুমানোর আগে নীল আলো (ব্লু লাইট) এড়িয়ে চলুন।
* সঠিক সময়ে খাবার খান। রাতের খাবার হালকা খান।
* ধ্যান এবং যোগব্যায়াম করুন। এগুলো ঘুমের মান উন্নত করে।
* ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে ঘুম ভালো হয়।
* রাতে শান্ত সঙ্গীত শোনা, খাবার পর হালকা হাঁটা, সহজ ব্যায়াম আদি ঘুম আনতে সাহায্য করে।
