- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- কেন কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, কেমনইবা ছিল তাঁর লড়াই- রইল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন প্রসঙ্গে ১০টি অজানা কাহিনি
কেন কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, কেমনইবা ছিল তাঁর লড়াই- রইল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন প্রসঙ্গে ১০টি অজানা কাহিনি
দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী ১২৬তম জন্মবার্ষিকী। আজকের দিনটি পরাক্রম দিবস হিসেবেও পালিত হয়। আজ রইল নেতাজির জীবন প্রসঙ্গে কয়টি অজানা কাহিনি। দেখে নিন এক ঝলকে।
| Published : Jan 23 2023, 09:05 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
১৪ জন ভাই-বোন ছিল নেতাজির। সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিশেষ সংগ্রামী। তিনি ১৮৯৭ সালে ওড়িশার, বঙ্গ প্রদেশের কটকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার ১৪জন ভাইবোন ছিল। তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি স্বামী বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণের রচনাগুলো পড়ে ফেলেছিলেন।
ছোট থেকেই একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সব সময় শীর্ষ স্থানে থাকতেন। তাঁর মেধা ও বুদ্ধি সর্বদা প্রশংসিত হত। তিনি স্কচিশ চার্চ কলেজে দর্শনশাস্ত্রে বিএ পাশ করেন ও সেখানেও ফাস্ট ক্লাস পেয়েছিলেন। তাঁর মেধা, বুদ্ধি আর তাঁর ব্যক্তিত্ব সকলের কাছে প্রশংসার ছিল।
১৯১৯ সালে তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান দখল করেন। তবে তিনি এই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। এরা আগে ১৯২০ ও ১৯৩০-র শেষ সময় পর্যন্ত তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও ১৯৩৮ এবং ১৯৩৯ সালে কংগ্রেসেরে সভাপতি হন।
মতভেদের কারণে কংগ্রেসের পদ থেকে তাঁকে বহিঃস্কার করা হয়। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৩৯ সালে কংগ্রেসের বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ নীতিগুলোকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করেন তিনি। এতে শুরু হয় অন্তঃদ্বন্দ্ব। তারপর তাকে কংগ্রেসের পদ থেকে বহিঃস্কার করা হয়।
জাতীয় কংগ্রেসের দুবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। কিন্তু, গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত, কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা বিরুদ্ধ মত প্রকাশে সমস্যা তৈর হয়।
তিনি এমিলি শেঙ্কল নামে একজন অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত মহিলাকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। তাঁর নাম অনিতা বোস। তিনি একজন বিখ্যাত জার্মান অর্থনীতিবিদ। বসু জার্মানিতে আজাদ হিন্দ রেডিও স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেন ও পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
তাঁর জয় হিন্দ ভারতের সবচেয়ে জয়প্রিয় স্লোগানগুলোর মধ্যে একটি বোস তৈরি করেছিলেন। তিনিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন গণ মন-কে তাঁর পছন্দের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
সুভাষ চন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসেস-এ নির্বাচিত হন কিন্তু পরে ১৯২১ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। কারণে ব্রিটিশ সরকারের সেবা করতে চাননি তিনি। তারপর তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি দেশের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন।
তিনি অহিংসা নয়, বরং সহিংসার পথ বেছে নিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতে দেশ স্বাধীন করতে গেলে গান্ধীর অহিংসার কৌশল অনুসরণ করে কোনও লাভ হবে না। তবে, তিনি গান্ধীজিকে খুবই শ্রদ্ধা করতেন। তিনি তাঁকে দেশপ্রেমিকদের দেশপ্রেমিক বলে ডাকতেন। গান্ধীর সঙ্গে তাঁর মতবিরোধের কারণে তিনি এক সময় কংগ্রেস ত্যাগ করেন।
সুভাষ চন্দ্র বসু বিশ্বাস করতেন যে, ভগবদগীতা তাঁর অনুপ্রেরণার একটি বড় উৎস। সর্বজনীন ভ্রাতৃত্বের বিষয় তিনি স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা গ্রহণ করেছিন। তিনি জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনা ও সমাজসেবা ও সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছিলেন। ইংরেজদের অধীন থেকে মুক্ত করার জন্য তিনি প্রতি মুহূর্তে কঠিন লড়াই করে গিয়েছেন।