সংক্ষিপ্ত
মতভেদের কারণে কংগ্রেসের পদ থেকে তাঁকে বহিঃস্কার করা হয়। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৩৯ সালে কংগ্রেসের বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ নীতিগুলোকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করেন তিনি।
প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের আজকের দিনটি সরকারি ছুটির দিন। এই দিন সর্বত্র পালিত হয় নেতাজিকে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী বা পরাক্রম দিবস। ১৮৯৭ সালে ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটক শহরে জন্ম হয় নেতাজির। তাঁর পিতে জানকীনাথ বসু ও মাতা প্রভাবতী দেবী। ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন তিনি। আজ এই বিশেষ দিনে নেতাজি সম্পর্কে রইল এক অজানা তথ্য।
জানা যায়, ১৯১৯ সালে তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান দখল করেন। তবে, তিনি এই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন।
সুভাষ চন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসেস-র নির্বাচিত হন কিন্তু ১৯২১ সালে সালে পদত্যাগ করেন। ব্রিটিশ সরকারের সেবা করতে চাননি তিনি। পতে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হন।
এর আগে ১৯২০ ও ১৯৩০ শেষ সময় পর্যন্ত তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও ১৯৩৮ এবং ১৯৩৯ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হন। মতভেদের কারণে কংগ্রেসের পদ থেকে তাঁকে বহিঃস্কার করা হয়। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৩৯ সালে কংগ্রেসের বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ নীতিগুলোকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করেন তিনি। এই কারণে শুরু হয় অন্তঃদ্বন্দ্ব। তারপর তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিঃস্কার করা হয়।
অন্যদিকে, আবার জাতীয় কংগ্রেসে ২ বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত, কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা বিরুদ্ধ মত প্রকাশের কারণে ফের সমস্যা তৈরি হয়। রাজনৈতিক কেরিয়ারে এমন নানান পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। যা সেভাবে আসেনি প্রকাশ্যে। আজ এই বিশেষ দিনে রইল সেই সকল তথ্য।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন