ঘর-বাড়ি নিজে পরিষ্কার করা আর পেশাদার আলোকদের দিয়ে করানোর মধ্যে অনেকটাই ফারাক। তবে সঠিক কৌশলে পরিষ্কার করলে কম খাটনিটে ফল ভালো হবে। সবসময় পেশাদার ডাকারও প্রয়োজনও হবে না।

ঘর পরিষ্কার স্বাস্থ্য এবং মানসিক শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখন অনেকেই ব্যস্ত জীবনে ঘরদোর পরিষ্কারের দায়িত্ব পেশাদারদের উপর ছেড়ে দিচ্ছেন। অ্যাপের মাধ্যমে পরিষেবা পাওয়াও সহজ, ফলে এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে। কিন্তু এখনও বহু মানুষ নিজেরাই ঘর পরিষ্কার করেন। তবে এই দুই ধরনের পরিষ্কারের মধ্যে পার্থক্য কিন্তু স্পষ্ট—তা শুধু সময় বা পরিশ্রম নয়, সঠিক কৌশল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও।

১। উপর থেকে শুরু করুন

মেঝে মোছার পর দেওয়ালের ঝুল ঝাড়লে খাটনি দ্বিগুণ হবে। অনেকেই ঘর পরিষ্কার শুরু করেন নিচের দিক থেকে—মেঝে, টেবিল, চেয়ার। পরে যখন চোখ পড়ে উপরের তাক, দেওয়ালের কোণা বা ঝাড়বাতিতে, তখন সেগুলি পরিষ্কার করতে গিয়ে আবার ধুলো পড়ে নিচে। মেঝে বা টেবিল পরিষ্কারের পর এই কাজ করতে যাওয়া মানে দেওয়াল থেকে ধুলো পড়বে আবার, সেগুলি পরিষ্কারও করতে হবে। তাওলি আগে দেয়াল, সিলিং, ফ্যান, ঝাড়বাতি এসব পরিষ্কার করে তবে টেবিল, চেয়ার, মেঝে পরিষ্কার করুন।

২। ঘর মোছার আগে কোনটি জরুরি

ধুলো-ময়লা জমে যাওয়া মেঝেতে সরাসরি ভেজা ন্যাতা বা সাবান জল লাগালে ধুলো কাদা হয়ে যায়। ফলে মেঝে পরিষ্কার তো হয়ই না, বরং আরও নোংরা দেখায়। আগে ঝাঁটা বা ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে ধুলো পরিষ্কার করে তারপর ভেজা ন্যাতা বা ঘর মোছার সরঞ্জাম ব্যবহার করে মেঝে পরিষ্কার করুন।

৩। অপরিষ্কার ন্যাতা বা সরঞ্জাম ব্যবহার

মোছার পরে ন্যাতা বা পরিষ্কার করার কাপড় ধুয়ে না রাখলে, তাতে জীবাণু জন্মায়। ঘর পরিষ্কারের নাম করে উল্টে ঘর নোংরা হয় আরও বেশি। তাই মোছামুছির পর ঘর পরিষ্কারের সরঞ্জামও ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন।

৪। ক্লিনিং স্প্রের সঠিক ব্যবহার

স্প্রে করে সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেললে ক্লিনার তার কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। বিশেষ করে জীবাণুনাশক স্প্রে করলে অন্তত ২ মিনিট অপেক্ষা করা প্রয়োজন, যাতে তার জীবাণুনাশক উপাদান কাজ করতে পারে। এতে মেঝে হোক বা আসবাব, ভাল ভাবে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত হয়।