Health Care: জলে হাঁটার উপকারিতা অনেক! কী এই ওয়াটার ওয়াকিং? জেনে নিন
- FB
- TW
- Linkdin
মাটিতে হাঁটার অনেক উপকারিতা আছে, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনি কি জানেন জলে হাঁটলেও আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যায়? জলে হাঁটা অনেক উপকারী। ওয়াটার ওয়াকিং করলে শরীর সতেজ থাকে। জলে হাঁটা মানে ঝর্ণায় হাঁটা নয়, সুইমিং পুল, নদী ইত্যাদি জলাশয়ে হাঁটা। এতে ওজন অনেকটা কমে। কারণ মাটিতে হাঁটার চেয়ে জলে হাঁটতে বেশি শক্তি প্রয়োজন। এই পোস্টে জলে হাঁটার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
ওয়াটার ওয়াকিং কি?
শুধু হাঁটাচলার মাধ্যমে দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে এই ব্যায়ামটি বरदान বলা যেতে পারে। এটি সঠিকভাবে করলেই উপকার পাওয়া যাবে। নাহলে শুধু ক্লান্তিই থেকে যাবে। জলে সক্রিয়ভাবে হাঁটা ভালো ফল দেয়। আপনি যদি ওয়াটার ওয়াকিং করেন, তাহলে জল কোমর বা বুক পর্যন্ত থাকা উচিত। প্রতিদিন ৩০ মিনিট জলে হাঁটতে পারেন। যতটা সম্ভব, নিরাপদ নদী বা পুকুরে হাঁটুন। কারণ জলে বিপদ আছে। সুইমিং পুলে হাঁটা নিরাপদ।
ওজন কমানো:
জলে হাঁটা শরীরকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে স্বাভাবিকভাবেই বাধা দেয়। এতে শরীরের পেশীগুলোর বেশি নড়াচড়া প্রয়োজন হয়। এটি মাটিতে হাঁটার চেয়ে বেশি শক্তি নেয়, তাই বিপাক বৃদ্ধি পায়। বেশি ক্যালোরি পোড়ালে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরল কমাতে জলে হাঁটতে পারেন।
পুরো শরীরের জন্য ব্যায়াম:
আমরা যখন মাটিতে হাঁটি, তখন পুরো শরীর ব্যবহার করি না। কিন্তু জলে হাঁটলে পুরো শরীরের জন্য ব্যায়াম হয়। জলে হাঁটলে আমাদের হাত, পিঠ, পেশী, পা সবই নড়াচড়া করে। জলের বিরুদ্ধে হাঁটার চেষ্টা করলে আমরা শক্তি ব্যয় করি। এতে আমাদের পেশী শক্তিশালী হয়। আপনি যদি জলে হাঁটেন, মাঝখানে সাঁতার কাটলে অতিরিক্ত উপকার পেতে পারেন।
ম্যাসাজ!
ওয়াটার ওয়াকিং পায়ের ভালো ব্যায়াম। জলে পায়ের উপর চাপ পড়লে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। কোনও আঘাত, পেশীতে টান ইত্যাদি থাকলে তা থেকে আরাম পাওয়া যায়। দৌড়ানোর মতো ব্যায়ামের ফলে শরীরের ব্যথা হলে ওয়াটার ওয়াকিং আরামদায়ক।
শরীরের ভারসাম্য:
মাটিতে হাঁটা আমাদের ভঙ্গি পরিবর্তন করে। তেমনি জলে হাঁটা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। যাদের শরীরে ভারসাম্যহীনতা আছে, তাদের ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা দেয়। মানসিক চাপ কমাতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে জলে হাঁটা উপকারী।
হাঁটু ব্যথা!
মাটিতে হাঁটলে অনেকের হাঁটু ব্যথা হতে পারে। কিন্তু জলে হাঁটলে তা কম প্রভাব ফেলে। হাঁটুর উপর বেশি চাপ পড়ে না। এতে হাঁটুতে ক্ষতি না করে বেশিক্ষণ হাঁটতে পারবেন। জলের প্লবতা শরীরকে ভারসাম্য দেয়, তাই হাঁটু, কোমরের পেশী, মেরুদণ্ডের উপর চাপ কম পড়ে।
কে করতে পারে?
সব বয়সীদের জন্য ওয়াটার ওয়াকিং ভালো ব্যায়াম। কোনও আঘাত ছাড়াই উপকার পাওয়া যায়। কম প্রভাব বিশিষ্ট কার্ডিও ব্যায়াম হওয়ায় হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। শরীরের জন্য ম্যাসাজের মতো কাজ করে ক্লান্তি দূর করে।