অনেকেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় মোজা পরেন। তার ফলে দাগ বসে যায় পায়ে। কারও কারও ক্ষেত্রে পা ধোয়ার আগেই ওই দাগ মিলিয়ে যায়। আবার কারও কারও পায়ে দাগ থেকে যায় বহুক্ষণ।

মোজা পরলে পায়ে দাগ বসাটা কেবল ইলাস্টিকের চাপ নয়, এটি রক্ত সঞ্চালনে বাধা, অতিরিক্ত আর্দ্রতা, বা ত্বকের শুষ্কতা থেকে হতে পারে। কিন্তু অবহেলা করলে ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, ত্বকের ক্ষতি, এমনকি কিডনি বা লিভারের সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই পরিষ্কার মোজা ব্যবহার, সঠিক ফিটিং, এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি, নাহলে বড় বিপদ হতে পারে।

মোজা পরলে দাগ বসার কারণ:

* ইলাস্টিকের চাপ: টাইট ইলাস্টিক রক্ত চলাচলে বাধা দেয় এবং ত্বকে চাপ সৃষ্টি করে দাগ ফেলে।

* ঘাম ও আর্দ্রতা: মোজার ভেতরে ঘাম জমে থাকলে তা ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, যা কালচে ছোপ বা সংক্রমণের কারণ হয়।

* শুষ্কতা: শীতকালে বা শুষ্ক ত্বকে মোজা ঘষা খেলে ত্বকের ক্ষতি হয় এবং দাগ বসে যায়।

* একই জায়গায় দীর্ঘক্ষণ থাকা: একই জায়গায় দীর্ঘক্ষণ মোজা পরে থাকলে বা পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে দাগ পড়তে পারে।

* নোংরা মোজা: অপরিষ্কার মোজা ফাঙ্গাল (যেমন অ্যাথলিট'স ফুট) ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়।

অবহেলা করলে বিপদ:

* ফাঙ্গাল ইনফেকশন: চুলকানি, লালচে ভাব, চামড়া ওঠা, বা ফোসকা পড়তে পারে (অ্যাথলিট'স ফুট)।

* ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন: কাটা বা ক্ষত থাকলে তা গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

* ত্বকের ক্ষতি: ত্বকের রং পরিবর্তন হওয়া বা স্থায়ী কালচে দাগ হওয়া।

* অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: দীর্ঘস্থায়ী রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা কিডনি, লিভার বা হৃদরোগের ইঙ্গিত দিতে পারে, বিশেষত যদি ঘুম থেকে ওঠার পরও দাগ থাকে।

প্রতিকার ও প্রতিরোধ:

* পরিষ্কার ও শুষ্ক মোজা: প্রতিদিন পরিষ্কার, শুকনো এবং শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য (breathable) মোজা পরুন।

* সঠিক ফিটিং: অতিরিক্ত টাইট মোজা এড়িয়ে চলুন, যা রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়।

* পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত পা পরিষ্কার করুন এবং ভালো করে শুকিয়ে নিন।

* ভালো মানের জুতো: বাতাস চলাচল করে এমন জুতো পরুন।

* প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি সমস্যা গুরুতর হয় বা চলতে থাকে, তবে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।