উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ প্রায়ই অদৃশ্য থাকে এবং চিকিৎসা না করালে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কী বলছে WHO?
রক্তনালীতে রক্তের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গতিতে প্রবাহিত হওয়াকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বলা হয়। এই সমস্যা অনেক মানুষের হয় এবং সময়মতো এর চিকিৎসা না করা হলে এটি গুরুতর হয়ে যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) লক্ষণ অনেক সময় শনাক্ত করা যায় না এবং এরকম অবস্থায় রক্তচাপের পরীক্ষা করানোর পরই সমস্যার কথা জানা যায়। বার্ধক্য, অতিরিক্ত ওজন, বেশী সোডিয়াম সমৃদ্ধ ডায়েট গ্রহণ, অ্যালকোহলের অতিরিক্ত ব্যবহার, জেনেটিক্স এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপ (High BP) হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী ৩০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ১.২৮ বিলিয়ন মানুষ হাইপারটেনশনের সমস্যায় ভুগছেন।
ঠিক সেখানে, ৪৬ শতাংশ লোকই জানেন না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) আছে। হাইপারটেনশন হৃদরোগ, কিডনির রোগ এবং স্ট্রোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে সময়মতো এই সমস্যাটির চিকিৎসা করা জরুরি। এখানে WHO-এর কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হল, যেগুলিকে মাথায় রাখা হলে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা করা যেতে পারে।
হাই বি পি সমস্যা কমানোর জন্য WHO-এর পরামর্শহাই ব্লাড প্রেশার হলে Chest Pain, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, উদ্বেগ, বমি, শ্বাসনালীতে সমস্যা, মাথাব্যথা, কানে শব্দ হওয়া, নাক দিয়ে রক্তপাত, হৃদস্পন্দনের দ্রুততা এবং অস্পষ্ট দৃষ্টি সহ সমস্যা ঘটতে পারে। এমন ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের দিকে নজর রেখে হাই বি পি সমস্যা থেকে উপশম পাওয়া যেতে পারে।WHO অনুযায়ী, স্বাস্থ্যকর ডায়েট নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। খাবারে নুন না করাটার প্রতি দৃষ্টি রাখা উচিত। নুনের অতিরিক্ত গ্রহণ হাই বি পি তৈরির কারণ হয়।ওজন কমানো জরুরি। ওজন কমানোর ফলে বি পি কমতে সহায়তা করে।যেকোনো ধরনের শারীরিক কার্যকলাপ না করা হাই বি পি’র কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা আবশ্যক। একটু একটু ব্যায়াম এবং যোগ ব্যায়ামকে জীবনধারার অংশ হিসেবে নিতে হবে।
তামাক বা অ্যালকোহল সেবন করলে তা বন্ধ করুন। খাদ্য গ্রহণে ফল এবং সবজির পরিমাণ বেশি করুন। চাপ কমানোও অত্যন্ত জরুরি। চেষ্টা করুন যে চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ নিয়মিত চেক করতে থাকুন। বাতাসের দূষিত উপাদান থেকে দূরে থাকুন।


