সংক্ষিপ্ত

জগন্নাথের মূর্তি নিয়ে কী বলেছিলেন নারদ মুনি? রথযাত্রার এই অজানা কাহিনি জানেন তো?

৭ জুলাই রথযাত্রা। পাড়ায় পাড়ায় আনন্দের ঢল। আনন্দ উৎসবে মজেছে বাঙালি। তবে কবে থেকে এই উৎসবের সূচনা হয়েছে জানেন?

ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ অনুযায়ী, কৃষ্ণ তাঁর ভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যন্মুকে দেখা দিয়ে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে তাঁর মূর্তি নির্মাণের আদেশ দেন।

এর কৃষ্ণের মূর্তিনির্মাণের জন্য রাজা একজন উপযুক্ত কাষ্ঠশিল্পীর সন্ধান করতে থাকেন। তখন এক রহস্যময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কাষ্ঠশিল্পী হঠাৎ করেই তাঁর সামনে হাজির হন এবং মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন। কিন্তু কাঠের মূর্তি বানানোর ক্ষেত্রে একটি শর্ত দেন ওই বৃদ্ধ। তিনি রাজাকে জানান, যতক্ষণ না তাঁ মূর্তি তৈরি সম্পূর্ণ হচ্ছে ততক্ষণ কেউ যেন দরজা না খোলেন।

এরপর সমস্ত রাজমহল যেন মূর্তির ব্যপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ৬-৭দিন বাদে রাজা দরজার বাইরে থেকে কাজের শব্দ শুনছিলেন। কিন্তু হঠৎই বন্ধ দরজার ভিতর থেকে কাঠ খোদাইয়ের শব্দ বন্ধ হয়ে যায়। তখন রানী কৌতুহল ধরে না রাখতে পেরে দরজা খুলে দেন। এবং দেখতে পান যে মূর্তি তৈরির কাজ তখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এবং জিনি এই মূর্তি তৈরি করছিলেন সেই বৃ্ধ আসলে বিশ্বকর্মা।

তাঁর কাজে বাধা পড়ায় মূর্তি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। তখনও মূর্তির হস্তপদ তৈরি হয়নি। সেইসময় রাজার সামনে হাজির হন নারদ মুনি। তিনি রাজাকে বলেন এই অর্ধসমাপ্ত মূর্তি পরমেশ্বরের এক স্বীকৃত স্বরূপ এই মূর্তিকে এইভাবেই পুজো করতে পরামর্শ দেন নারদ মুনি।

কথিত আছে, আষাঢ় মাসের শুক্ল দ্বিতীয়ায় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রথে চেপে মাসির বাড়ি যান। মাসির বাড়ি হল ইন্দ্রদ্যুম্নের পত্নী গুন্ডিচার বাড়ি। সেখানে ৭ দিন থাকার পরে উলটো রথের দিন ফের রথে চেপে ফিরে যান জগন্নাথ। এই উৎসবকেই রথযাত্রা উৎসব বলা হয়।