সংক্ষিপ্ত
সুযোগ পেলেই মানুষ আয়নায় মুখ দেখে, ঠিক কীভাবে সৃষ্টি হল এই বস্তুর? জেনে নিন রোমাঞ্চকর কিছু ইতিহাস
আয়না এমন একটি জিনিস যা প্রতিটি ঘরে থাকতেই হবে। ঘর যেমনই হোক না কেন একটা আয়না অবশ্যই থাকতে হবে। পৃথিবীতে একমাত্র এই একটা বস্তুর মাধ্যমে আমরা স্বচ্ছ ভাবে নিজেদের দেখতে পাই। কিন্তু ঠিক কীভাবে উৎপত্তি হল এই বস্তুর জানেন? কোথা থেকে এ আয়না? আসুন জেনে নেওয়া যাক এর আবির্ভাবের ইতিহাস।
এর উদ্ভাবনের ইতিহাস অবশ্য সুপ্রাচীন। প্রায় আট হাজার বছর আগেই আয়নার ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। জায় এনোশ নামের এক গবেষকের জার্নাল থেকে জানা গিয়েছে যে , প্রায় আট হাজার বছর আগে বর্তমান তুরস্কে অবসিডিয়ান নামে একধরনের অগ্নিশিলাকে ঘষামাজা করে আয়নার মতো একটা বস্তু তৈরি করা হত যাতে দেখা যেত মুখ।
আয়নার প্রচল ছিল মেসোপটেমীয় ও মিসরীয় সভ্যতাতেও। খ্রিষ্টপূর্ব চার হাজার থেকে তিন হাজার বছর আগে এই সভ্যতাতে তামার তৈরি একধরনের আয়নার ব্যবহার হতো বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে রোমান লেখক প্লিনি দ্য এল্ডারের লেখা একটি এনসাইক্লোপিডিয়াতে কাচের তৈরি আয়নার কথা বলা আছে। ১৮৩৫ সাল নাগাদ অবশ্য আধুনিক সময়ে ব্যবহৃত রৌপ্য আর কাচের সংমিশ্রণে তৈরি আয়না আবিষ্কৃত হয়।
তবে আধুনিক কালে আমরা যে আয়না ব্যবহার করি সেই রৌপ্য আর কাচের সংমিশ্রণে তৈরি আয়না ১৮৩৫ সালে আবিষ্কার করেন জার্মান রসায়নবিদ জাস্টাস ফন লিবিগ।