রান্না করার আগে ডিম ভাল করে ধুয়ে নেওয়া উচিত। আবার কেউ কেউ বলেন এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে খাদ্য সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষভাবে খোলা বাজার বা স্থানীয় মুরগির ডিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।
বাজার থেকে কেনা ডিম রান্না করার আগে ধোওয়া জরুরি। ডিমের খোসা ছিদ্রযুক্ত হওয়ার কারণে এর উপর থাকা ব্যাকটেরিয়া (যেমন – সালমোনেলা) ধোওয়ার ফলে দূর হয় এবং রান্নার সময় সেই ব্যাকটেরিয়া ডিমের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না।
* কেন ডিম ধোওয়া জরুরি:
** ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ: ডিমের খোসার উপর ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া লেগে থাকতে পারে। ধোওয়ার ফলে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো দূর হয়ে যায়, যা সালমোনেলা (Salmonella) এর মতো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
** নিরাপদ রান্না: রান্নার সময় ডিম ভাঙলে বা নাড়াচাড়া করলে খোসার উপরের ব্যাকটেরিয়া হাতের মাধ্যমে বা রান্নার সরঞ্জামের মাধ্যমে ডিমের ভেতরের অংশে চলে যেতে পারে। ধোওয়া থাকলে এই ঝুঁকি কমে যায়।
** কখন ধোবেন না: কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ডিম ধোওয়ার ফলে খোসার প্রাকৃতিক সুরক্ষামূলক স্তর নষ্ট হতে পারে এবং এতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করা সহজ হয়ে যায়। তাই তারা ডিম রান্নার ঠিক আগেই ধোয়ার পরামর্শ দেন, সংরক্ষণ করার আগে নয়।
** কীভাবে ধোবেন: রান্নার ঠিক আগে একটি নরম ব্রাশ বা কাপড় দিয়ে ডিমের খোসা আলতো করে ঘষে পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে হালকা গরম জল ব্যবহার করতে পারেন। ধোয়ার পর ডিমগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। ডিম সরাসরি ফ্রিজে রাখবেন না, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
** প্যাকেজড ডিম বনাম স্থানীয় ডিম, পার্থক্য ঠিক কোথায়?
ডিম ধোওয়ার প্রক্রিয়াটি ডিমের উৎসের ওপর নির্ভর করে। প্যাকেজড বা স্টোর থেকে কেনা ডিম অন্যরকম হয়। সাধারণত বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হওয়া ডিমগুলি বাজারে আসার আগে পরিষ্কার করা, স্যানিটাইজ করা এবং গ্রেডিংয়ের মতো কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে যায়। এই ডিমগুলিতে একটি সুরক্ষামূলক আস্তরণ তৈরি করা থাকে। যা ব্যাকটেরিয়াকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। তাই এগুলি বারবার ধোওয়ার প্রয়োজন হয় না।
খোলা বাজার বা দেশি মুরগির ডিম – স্থানীয় বাজার বা খামার থেকে আনা ডিমগুলিতে ধুলো, পালক এবং ময়লা লেগে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই ক্ষেত্রে, ব্যবহারের আগে হয় সাধারণ জলে বা হালকা গরম জলে আলতো করে ধুয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
