সরকারি নিয়ম মেনে শুধুমাত্র গেজেটেড অফিসাররাই এই সবুজ কালির পেন ব্যবহার করে থাকেন। ভারতে গেজেটেড অফিসাররা প্রায়শই সবুজ কালির কলম ব্যবহার করেন। এটি কোনো কঠোর নিয়ম না হলেও, সাধারণ স্বাক্ষর থেকে এটিকে আলাদা করার জন্য একটি প্রচলিত রীতি।
ভারতে গেজেটেড অফিসার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে সবুজ কালির কলম ব্যবহার করা একটি প্রচলিত রীতি আছে। যা তাদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক বা কঠোর নিয়ম নয়। এই রীতিটি মূলত নির্দিষ্ট বিভাগগুলিতে চূড়ান্ত অনুমোদন বা ছাড়পত্র বোঝাতে এবং সাধারণ স্বাক্ষর থেকে আলাদা করতে সাহায্য করে।
* সবুজ কালির কলমের ব্যবহার :
* কর্তৃত্ব বোঝানো: এই কালির ব্যবহার সাধারণত গেজেটেড অফিসারদের (যেমন যুগ্ম সচিব স্তরের উপর) জন্য সংরক্ষিত, যা তাদের একটি বিশেষ অবস্থান এবং অনুমোদনের ক্ষমতা নির্দেশ করে।
* সাধারণ স্বাক্ষরের পার্থক্য: সবুজ কালি ব্যবহার করে বোঝানো হয় যে ফাইল বা নথিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণ স্বাক্ষর থেকে আলাদা।
* বিভিন্ন বিভাগের নিয়ম:
* সরকারি হাসপাতাল: একজন ডাক্তার শুধুমাত্র হাসপাতাল বা পিএইচসি প্রাঙ্গণে থাকাকালীন সবুজ কালিতে স্বাক্ষর করতে পারেন।
* অন্যান্য বিভাগ: অন্যান্য অনেক সরকারি বিভাগে, সবুজ কালির ব্যবহার একটি ঐতিহ্য বা প্রথা হিসেবেই রয়ে গেছে, যেখানে গেজেটেড অফিসাররা তাদের স্বাক্ষর এই কালিতে করে থাকেন।
* নিয়ম ও ব্যতিক্রম: সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সাধারণত কালো বা নীল কালি ব্যবহার করতে হয়।
* সবুজ বা লাল কালির ব্যবহার একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রথা হিসেবেই প্রচলিত এবং এটি নির্দিষ্ট বিভাগ বা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
* অন্যান্য রঙের ব্যবহার:
* লাল কালি: যুদ্ধের সময় বা জরুরি পরিস্থিতিতে সেন্সর করার জন্য গোয়েন্দা কর্মকর্তারা লাল কালি ব্যবহার করতেন।
* অন্যান্য রঙ: অন্যান্য ক্ষেত্রে, লাল কালি সাধারণত সংশোধন বা বিশেষ নোটেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।


