সংক্ষিপ্ত

বাথরুমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটান? কেন এমন হয়, আসল কারণ জানলে অবাক হবেন

স্নান করা থেকে শুরু করে কাপড় ধোয়া পর্যন্ত আমরা বাথরুমটি অনেক প্রাথমিক প্রয়োজনের জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু আজকাল অনেকেই বাথরুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটান। অনেকেই হয়তো এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন, "এতক্ষণ কী করলে?"। আসলে, কিছু লোক বাথরুমকে স্বর্গ বলে মনে করেন। তাই তারা সেখানে অনেকক্ষণ থাকেন। 

বাথরুমে সময় কাটানো মানে কী, অনেকেই মুখ ভেঙচিয়ে ফেলেন। কিন্তু অনেকের কাছে এটি একটি শান্তির জায়গা। বিশেষ করে জীবনের কঠিন সময়ে বা নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করতে চাইলে অনেকেই বাথরুমে অনেক সময় কাটান। এর ফলে বাথরুমে বেশি সময় কাটানোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাথরুমে কেবল স্নানই করেন না, কেউ কেউ গান গাওয়া, নাচ করা ইত্যাদি নানা কাজও করেন। এমনকি আমাদের অনেকেরই বাথরুমে অনেকক্ষণ থাকার অভ্যাস থাকতে পারে। আসলে এটি কোন খারাপ অভ্যাস নয়। 

তবে কেন এত লোক বাথরুমে বেশি সময় কাটান, সে বিষয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। এই গবেষণায় বাথরুমে বেশি সময় কাটানোর অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী। 

ভিলেরয় অ্যান্ড বোচে নামক একটি প্রতিষ্ঠান বাথরুম ব্যবহারের উপর একটি গবেষণা চালিয়েছে। এই গবেষণায় ২০০০ এর বেশি লোক অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ বলেছেন, তারা শান্তি ও প্রশান্তির জন্য বাথরুমে বেশি সময় কাটান। তারা সপ্তাহে প্রায় ১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট বা মাসে একটি কর্মদিবস বাথরুমে কাটান। 

এখানে একটি মজার বিষয় হল, মহিলাদের তুলনায় পুরুষরাই বাথরুমে বেশি সময় কাটান। সব বয়সের পুরুষরাই মহিলাদের তুলনায় টয়লেটে বেশি সময় কাটান বলে গবেষণায় দেখা গেছে। পুরুষরা সপ্তাহে প্রায় ২ ঘণ্টা বা প্রায় ২০ মিনিট টয়লেটে কাটান। মহিলারা দিনে ১৫ মিনিট, সপ্তাহে ১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট বাথরুমে কাটান। 

মানসিক চাপ কমাতেও অনেকে বাথরুমে যান। এই গবেষণা অনুযায়ী, বাথরুমে বেশি সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে বাথরুমে বেশি সময় কাটানোর কিছু লোক মানসিক চাপে ভুগছেন বলে বুঝতে পারেন না। 

ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর কাউন্সেলিং অ্যান্ড সাইকোথেরাপির সদস্য জর্জিনা স্টারমার বলেছেন, অনেকে বাথরুমকে সবকিছু থেকে পালানোর জায়গা হিসেবে দেখেন। ব্যস্ত ও দ্রুতগতির জীবনে প্রত্যেকেরই কোপিং মেকানিজমের প্রয়োজন। এর জন্য বাথরুমকেই উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচনা করেন। তাই বাথরুমে বিরতি নিতে পছন্দ করেন।