সংক্ষিপ্ত

  • শনিবার নিরামিষেই কাটবে অনেক জামাইয়ের দিন
  • কোন কোন পদ দিয়ে সাজানো হবে মেনু
  • বাজারের যাওয়ার আগে ঠিক করে ফেলুন পদ 
  • নিরামিষ ভোজনেই করুন জামাই বন্দনা

জামাইষষ্ঠী শনিবার! অনেক শ্বশুর-শাশুড়িরই মাথায় হাত। মাছ-মাংস ঢুকবে না বাড়িতে। জামাইও খাবেন না আমিষ, এখন উপায় কেবলই নিরামিষ পদ। তাই সাবেকিয়ানা পদেই মন জয় করতে হবে জামাইয়ের। কী কী পদ থাকতে পারে আগামিকালের মেনুতে তাই নিয়ে অনেকেরই কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। বাজারে যাওয়ার আগেই ঠিক করে নিন কি দিয়ে সাজাবেন জামাইয়ের থালা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে নজরে রাখুন জামাইয়ের পাতে থাকতে পারে কী কীঃ

  • প্রাতরাশঃ দিনের শুরু হোক বা শেষ, হালকা খাবারের প্রশ্নই উঠে না এই দিন। ফলে কাঁসার থালায় সাজিয়ে ফেলুন- ফুলকো লুচি, বেগুন ভাজা, আলুর দম, ছোলার ডাল, ক্ষীরের পায়েস, রাজভোগ, আম এবং অতি অবশ্যই আমের শরবত।
  • মধ্যাহ্নভোজঃ দুপুরে পাত পেরে খাওয়ার মজাই আলাদা। জামাই আদরে বসিয়ে সেরে ফেলুন মধ্যাহ্ণভোজ। পদে রাখুন-সরু চালের ভাত, ঘি, লাল শাক, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, সোনামুগ ডাল, আলু পোস্ত, এঁচড়ের-ঘন্ট, বাসন্তি পোলাও, কাশ্মিরী আলুর দম, ছানার কোপতা, আনারসের তেতুঁল চাটনি, বেকড মাখা সন্দেশ, পেস্তা সন্দেশ, শাহি রাজভোগ, আমদই, ক্রিম-ক্যারামেল আইসক্রিম, রূপলী শাহি পান।
  • বিকেলঃ বিকেলে এবার খানিক বিরতি। হালকা চা দিয়েই শুরু করা যেতে পারে পারিবারিক গল্পের আসর। ইলাইচি, দারচিনি, লবঙ্গ সংমিশ্রণে দুধ চা, খাস্তা বিস্কুট।
  • সন্ধেবেলাঃ সন্ধে গড়ালে আবারও জামাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া নতুন পদ। পাত খালি থাকা মোটেই চলবে না এই দিন। তবে স্বাদের খানিক বদল ঘটতেই পারে এইসময়। তাই সঙ্গে রাখুন-পাপরিচার্ট, দই ফুচকা, মালাই পনির কাবাব, কোল্ড ড্রিংস।
  • নৈশভোজঃ পরিশেষে রাতের পালা। দিনের সব ক্লান্তি শেষ। কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। তাই শেষ বেলায় জামাইয়ের মন জয় করতে পাতে তুলে দিন- গোবিন্দভোগ চালের ভাত, ঘি, পাতলা মুশরির ডাল, আলু ভাজা, এঁচড় কালিয়া, ইলিশ পাতুরি, চিনি পনির, ডাল মাখানি, পরোটা, রসমালাই, সালাড, মিহিদানা, পুডিং।