সংক্ষিপ্ত

  • মন্দির মানেই ভগবানের স্থান
  • বজরংবলির পুজো দিতে ও অশুভ আত্মা তাড়াতে ভক্তরা ভিড় জমান  হনুমানজির মন্দিরে
  • মহারাজ মন্দির প্রতিবছর ভূত মেলার আয়োজন করা হয়
  • দত্তাত্রেয় মন্দিরে ঈশ্বর বন্দনার বদলে ভগবানকে তিরস্কার করা হয়

মন্দির মানেই ভগবানের স্থান। যে কোনও ধরণের সমস্যায় পড়লে আমরা সবার আগে ভগবানকে স্মরণ করি।  কারণ ভগবানকে স্মরণ করলে যেন সব সমস্যা নিমেষে দূর হয়ে যায়। ভগবানের কাছে যাওয়ার জন্যই আমরা মন্দিরে যাই। আর মন্দিরের মতো পবিত্র স্থানে গেলেই মন ও আত্মা শান্তি  পায়। এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভারতের সাধারণ মানুষের। কিন্তু যদি জানতে পারেন মন্দিরের মধ্যে ভগবান নয়, অশরীরী আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাহলে? যেখানে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে অশরীরী আত্মা। এমন বেশ কিছু মন্দির রয়েছে, যেখানে পা ফেললেই গা শিউরে উঠবে আপনারও। জেনে নেওয়া যাক সেই মন্দিরের ইতিহাস।

আরও পড়ুন-ডায়েট নয়, প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে পাতে রাখুন ডিমের কুসুম...

মহেন্দিপুর বালাজি মন্দির

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই মন্দিরে পুজো দিতে আসে। এর পিছনে একটাই উদ্দেশ্য। এখানে পুজো দিলে পাপের প্রায়শ্চিত্ত হবে। এবং ঈশ্বর তাতে খুশি হন। এই কারণেই ভক্তরা একটি কঠিন পথ বেছে নিয়েছেন। মন্দিরের দেওয়ালের সঙ্গে নিজেকে চেন দিয়ে বেধে গায়ে গরম জল ঢেলে দেন আর তাতেই সব পাপ মুক্তি ঘটে। এমনই কষ্টদায়ক উপায়ে পাপমুক্তি ঘটাতে মরিয়া সমস্ত ভক্তরা। শুধু তাই নয়, এটিই দেশের একমাত্র মন্দির যেখানে অশরীরী আত্মা তাড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। তাই স্থানীয়দের অনেকেই বলেন এই মন্দিরে শয়তানের বাস রয়েছে।

শ্রী কষ্টভঞ্জনদেব হনুমানজি মন্দির

বজরংবলির পুজো দিতে ও অশুভ আত্মা তাড়াতে ভক্তরা ভিড় জমান গুজরাটের এই মন্দিরে। স্থানীয়দের একাংশ মনে করেন রাত হতেই মন্দিরে নাকি অশুভ আত্মা ঘুরে বেড়ায়। এমনকী অনেকেরই ক্ষতি করেছে তারা। 

আরও পড়ুন-সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণ, বড়দিনে প্রিয়জনকে দিন সেরা উপহার...

দেবজি মহারাজ মন্দির

এই মন্দিরে পা রাখা মাত্রই অদ্ভুত কিছু ঘটনার সাক্ষী হতে পারেন। যা সচরাচর মন্দিরের ভিতরে দেখা যায় না। প্রতি পূর্ণিমা তে ঝাড়ু মেরে যেমন ভুত তাড়ানো রয়েছে, তেমনি মন্দির চত্বরে প্রতিবছর ভূত মেলার আয়োজন করা হয়। সবমিলিয়ে ঈশ্বরের স্থানে সারা বছরই অন্যরকমের একটি পরিবেশ বিরাজ করে।

দত্তাত্রেয় মন্দির

অমাবস্যা কেটে গেলেই মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলায় অবস্থিত এই মন্দিরটিতে ভিড় জমে। সকাল ১১ টার সময় মহামঙ্গল আরতি শুরু হয়। কিন্তু আরতির চমক হল, সেখানে ঈশ্বর বন্দনার বদলে ভগবানকে তিরস্কার, ভৎসনা করা হয়। কারণ মানুষের বিশ্বাস তাদের মধ্যেই শয়তান লুকিয়ে রয়েছে। এমনকী মন্দিরের দেওয়াল, ঘন্টার উপরেও অনেককে অদ্ভুত ভাবে বসে থাকতে দেখা গেছে।