সংক্ষিপ্ত

বাড়ির পোষ্যটিকে বাড়ির সদস্যদের মতই যত্ন করতে হবে। সঠিক সময় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া থেকে সঠিক ফুড চার্ট তৈরি করার মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সঠিক পেট কেয়ার টিপসের সন্ধান রইল আপনার জন্য। 

পোষ্য (Pet) মানে কিন্তু শুধু প্রাণী নয়, সে আপনার বাড়ির বাকি ৫ জন সদস্যের মতই। তাই বাড়ির সদস্যদের যেমন যত্ন করেন আপনার পোষ্যটিকে বা কুকুরটিকেও কিন্তু ঠিক সেইভাবেই যত্ন করতে হবে (Pet Care Tips) । বরং একটু বেশী যত্নেরই প্রয়োজন। পোষ্য মানেই কিন্তু সে একটি অবলা জীব। তাই আপনাকেই নিজের সন্তানের মত তার ভাষা বুঝতে হবে। তার কিসে সুবিধা বা অসুবিধা সেটি কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ততার সঙ্গে আপনাকেই বুঝতে হবে। শুধু শখ করে বাড়িতে পোষ্য রাখলেন আর তাকে আদর করলেন তাহলে কিন্তু মোটেই হবে না। বাড়ির পোষ্যটির সঠিক খেয়াল (Pet Care) রাখলেই কিন্তু সে দিনে দিনে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে। একটা কথা কিন্তু সব সময় মনে রাখবেন, পোষ্য কিন্তু প্রভুর ভাষা বোঝে। তাকে হাঁটতে নিয়ে যান, তার সঙ্গে দিনের বেশ কিছুটা সময় কাটান। দেখবেন আপনার মানসিক শান্তিও অনেকাংশে বেড়ে যাবে। পোষ্য (Pet) কিন্তু বাড়ির ছোট্ট শিশুর জন্যও বিশেষভাবে উপকারী। 

একটি পোষ্যের (Pet) অভিভাবক হিসাবে আপনার ওপর কিন্তু রয়েছে এক গুরুদায়িত্বও। আসুন দেখে নিন আপনি আপনার পোষ্যের স্বাস্থ্যবিধির যত্ন কীভাবে নেবেন (Pet Care Tips)। সঠিক সময় পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হল প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস থেকে থাইরয়েড, হার্টের সমস্যা থেকে ক্যান্সার অবধি নানা রকম রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে কুকুরদের। তাই সতর্ক থাকবেন যে আপনার পোষ্যের শরীরে যেন এমন কোনও রোগ বাসা না বাঁধে। আর যদি কোনও রকম উপসর্গ দেখতে পান তাহলে এক নুহুর্তও দেরি না করে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পোষ্যের ত্বক এবং লোমের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন (Pet Care Tips)। 

আরও পড়ুন-বাড়িতে আদরের পোষ্য! বেড়াতে যাওয়ার আগে মাথায় রাখুন এই ৭টি বিষয়

আরও পড়ুন-ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করুন পালং শাকের ফেসপ্যাক, জেনে নিন কী করে বানাবেন

আরও পড়ুন-Causes of Diabetes: আপনার কয়টি অভ্যেসই বাড়াচ্ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, জেনে নিন কী কী

আপনি যেমন আপনার মুখ ও দাঁতের যত্ন নেন ঠিক তেমনই  আপনার পোষ্যটিরও মুখ ও দাঁতের সঠিক পরিচর্চা করতে হবে। প্রয়োজনে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক নিয়মে দাঁত পরিষ্কার করাতে হবে। দাঁত ও মাড়ির যত্ন না নিলে সমস্যা দেখা যেতে পারে। আপনার পোষ্যের বয়স অনুযায়ী তার খাবারের তালিকা তৈরি করতে হবে। মনে রাখবেন, ৫ মাস বয়সের পর থেকেই কিন্তু কুকুরের ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটে যায়। তাই সেই সময় সুষম আগারের প্রয়োজন। যদি সম্ভব হয়, আপনার পোষ্যকে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বেশী খাওয়াবেন না। কারণ বেশি মাত্রায় ক্যালসিয়াম কুকুরের শরীরে প্রবেশ করলে হিপ ডিসপ্লাসিয়া বাড়িয়ে দেয়। 

পোষ্যকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন দিতে নিয়মিত তাকে বাড়ির সামনের রাস্তায় নিয়ে বেড় হন। পোষ্যদেরও কিন্তু খোলা হাওয়ায় ঘোরা প্রয়োজন। একান্ত যদি বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ না হয়, তাহলে ঘরের ভিতরই পোষ্যের সঙ্গে খেলা করুন। একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, যাতে আপনার পোষ্য কোনওভাবেই অলস না হয়ে যায়। যদি আলসেমি ধরে যায় তাহলে কিন্তু শরীরে মেদ জমে যাবে। 

আপনি আপনার পোষ্যকে কিন্তু কখনও ঘরবন্দি করে রাখবেন না। অর্থ্যাৎ অন্যান্য পোষ্যদেরও কিন্তু বন্ধুর প্রয়োজন। তাই আপনার বাড়ির পাশে বা বিশ্বস্ত কোনও জায়গায় যদি অন্য কোনও পোষ্য থাকে তাহলে সেখানে আপনার কুকুরকে নিয়ে যান। তবে সেক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখবেন, যে পোষ্যটির কাছে নিয়ে যাচ্ছেন তার কোনও সংক্রামক রোগ আছে কিনা।