- Home
- Lifestyle
- Parenting Tips
- শিশুদের বকা দেওয়া কি ঠিক? বকা না দিয়ে শাসন করার উপায় জেনে নিন বাবা মায়েরা
শিশুদের বকা দেওয়া কি ঠিক? বকা না দিয়ে শাসন করার উপায় জেনে নিন বাবা মায়েরা
শিশুদের শাসন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, শাসন করার জন্য আমরা কোন পদ্ধতি বেছে নিচ্ছি তা আরও গুরুত্বপূর্ণ।

বাড়িতে শিশুরা দুষ্টুমি করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তাদের দুষ্টুমি সামলানো অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। খেলনা এলোমেলো করে রাখা, দামি খেলনা ভেঙে ফেলা, হোমওয়ার্ক না করা, চিৎকার করা - এসব প্রতিদিনের ঘটনা।
এসব দেখে অভিভাবকদের রাগ হওয়া স্বাভাবিক। সেই রাগের বশে মারধর, বকাঝকা করে ফেলেন অনেকে। কিন্তু, আমাদের ছোট্ট একটি কথাও শিশুর মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
সারা বছরের পড়া মনে না থাকলেও, বাবা-মায়ের বকা মনে থেকে যায়। তাহলে, শিশুদের বকা না দিয়ে শাসন করবেন কীভাবে?
শিশুদের শাসন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু, শাসন করার জন্য আমরা কোন পদ্ধতি বেছে নিচ্ছি তা আরও গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা যাতে বাবা-মায়ের উপর রাগ, ঘৃণা না পুষে, ভালোবাসায় বেড়ে ওঠে এবং সুশৃঙ্খল হয়, তার জন্য কী করবেন জেনে নিন।
রাগ হলেই আমরা শিশুদের বকা দিয়ে বসি। রাগের সময় আমাদের গলা চড়া হয়ে যায়। এমন চড়া স্বর শুনে শিশুরা ভয় পায়। ভয়ে সাড়া দেয়। কিন্তু, বাবা-মা কী বলতে চাইছেন তা বোঝে না। তাই, তাদের উপর রাগ না দেখিয়ে, ধৈর্য ধরতে শিখুন। শিশুর ভুল কীভাবে বোঝাবেন?
রাগ কমলে শিশুকে কাছে ডেকে ভালোবাসার সাথে তার ভুল দেখান। ভুলের পরিণাম বুঝিয়ে বলুন। একবারে পরিবর্তন না এলেও, ধীরে ধীরে শিশু বুঝবে। বাবা-মা রেগে চিৎকার করলে শিশুরাও তাই শেখে। তাদের অনুকরণ করে।
তাই, আমাদের আগে চিৎকার বন্ধ করতে হবে। ছোট ছোট গল্পের মাধ্যমে শিশুদের বোঝাতে হবে। কোনো সমস্যা হলে কীভাবে সমাধান করতে হয় তাও শেখাতে হবে। গল্পের মাধ্যমে শেখালে শিশুরা তাড়াতাড়ি শেখে।
ভয় শিশুর শ্রবণশক্তি কমায়
শিশুরা ভয় পেলে তাদের মস্তিষ্ক ভিন্নভাবে কাজ করে। তখন তারা কথা শুনতে পারে না। তাই, গোপন কথা বলার ছলে তাদের কাছে ডেকে আপনার কথা বলুন। এতে শিশুরা মনোযোগ দিয়ে শুনবে।
শিশুরা ভুল করলে চিৎকার, বকাঝকা করলে তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। তাই, চিৎকার না করে শিশুর সাথে বসে তার ভুল বুঝিয়ে বলুন।
পরবর্তীতে একই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে তা শেখান। এতে শিশুরা দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে।
বিশ্বাস হারানোর ভয়
প্রতিটি ভুলের জন্য বকাঝকা ও শাস্তি দিলে শিশুরা বাবা-মায়ের উপর আস্থা হারায়। মনের কথা বলতে চায় না।
তাই, ইতিবাচক উপায়ে শিশুর ভুল সংশোধন করুন। এতে শিশু ভুল স্বীকার করবে এবং আপনার উপর তার বিশ্বাস বাড়বে।

