- Home
- Lifestyle
- Parenting Tips
- বয়ঃসন্ধির কিশোর-কিশোরীদের জন্য অপরিহার্য জীবন দক্ষতা, সন্তানকে পাঠ দিন জীবনের
বয়ঃসন্ধির কিশোর-কিশোরীদের জন্য অপরিহার্য জীবন দক্ষতা, সন্তানকে পাঠ দিন জীবনের
শ্রেণীকক্ষের পড়াশোনা এবং ভালো নম্বর জীবনের সবকিছু শেখায় না। জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্য জীবন দক্ষতা অপরিহার্য।

প্যারেন্টিং টিপস
তিন বছর বয়স হলেই বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করার কথা ভাবেন অভিভাবকরা। শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই স্কুলে ভর্তিও জরুরি। কিন্তু স্কুলের পাঠ্যক্রমের বাইরেও অনেক কিছু শেখা দরকার। জীবন দক্ষতা এমনই কিছু, যা স্কুলে শেখানো হয় না। বাড়িতেই শেখাতে হয়। জীবন দক্ষতা কী এবং কীভাবে শেখাবেন, তা নিয়ে আলোচনা...
শিশুদের শেখানোর মতো জীবন দক্ষতা
শ্রেণীকক্ষের পড়াশোনা যতই থাকুক, নম্বর যতই ভালো হোক, তাতে জীবন শেখা যায় না। জীবনের নানা পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলতে হলে জীবন দক্ষতা অপরিহার্য। শিশুদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে কোন দক্ষতা শেখাবেন, জেনে নিন।
অনেক শিশু সকালে সময়মতো ওঠে না। বাবা-মায়ের বকাঝকা সত্ত্বেও ওঠে না। কিন্তু নিজে থেকেই সময়মতো ঘুম থেকে ওঠাটা শেখা উচিত। এটা শুধু অভ্যাস নয়, এতে শিশুর মধ্যে দায়িত্ববোধ, সময়ানুবর্তিতা এবং অন্যের সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জন্মায়। জীবনে এসব গুণ অনেক কাজে আসে।
2. ব্যর্থতায় শান্ত থাকা
জীবনে হার-জিত স্বাভাবিক। কিন্তু হেরে গেলে দুঃখ, ভয় বা রাগ না করে শান্ত থাকাটা শিশুদের শেখা উচিত।
৩. স্পষ্টভাবে কথা বলা
বন্ধু তৈরি করতে বা মতামত ব্যক্ত করতে স্পষ্ট এবং সম্মানজনক ভাবে কথা বলা জরুরি। আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলা সম্পর্ক গড়ে তোলে। চিৎকার করে কথা বললে কোন লাভ নেই।
৪. রান্না করা
অসাধারণ রান্না না জানলেও কমপক্ষে নিজের খাবার নিজে রান্না করতে পারা উচিত। ছেলে বা মেয়ে সবার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। রান্না জানলে যেকোনো জায়গায় টিকে থাকা যায়। এছাড়া বাজেট নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয় বোঝা যায়।
৫. সম্পর্ক বজায় রাখা
কারও সাথে ঝগড়া করা বা সম্পর্ক ছিন্ন করা সহজ। কিন্তু সবার সাথে সম্মানজনক ব্যবহার করে সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটা ছোটবেলা থেকেই শিশুদের শেখানো উচিত।
৬. কাজ শেষ করা
কোন কাজ শুরু করলে তা শেষ করা উচিত। এতে আত্মবিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা বাড়ে। এটা প্রতিভার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মাঝপথে কাজ ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাস থাকা উচিত নয়।
৭. দায়িত্ববোধ
কেউ না দেখলেও কাজ করা ব্যক্তিত্বের পরিচয় বোঝায়। এই নিঃশব্দ কাজই ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করে। প্রশংসার জন্য কাজ করা উচিত নয়।
৮. নিজের মূল্যবোধ জানা
এটা শুধু ধর্ম বা রাজনীতি নয়। কার কী বিশ্বাস, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কোন বিষয়ে আপোষ করা যাবে না, তা বোঝা জরুরি। এতে জীবনে স্থির ভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়।

