পেরেন্টিং টিপস: সেরা অভিভাবক হতে চান? এই ৫টি বিষয় অবশ্যই মেনে চলুন
যারা সেরা অভিভাবক হতে চান, সেই সব দম্পতিদের জন্য পাঁচটি অবশ্য পালনীয় বিষয় এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।

সন্তান লালন-পালন করা সহজ কাজ নয়। সন্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি অভিভাবকদের অনেক দায়িত্ব থাকে। বর্তমান সময়ে অভিভাবকদের দায়িত্ব আরও বেড়েছে। তাদের স্ক্রিন টাইম, অভ্যাস সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এই প্রতিবেদনে, সেরা অভিভাবক হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।
শিশুরা অভিভাবকদের সম্পত্তি নয়। তাদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ আছে, যা বাবা-মাকে বুঝতে হবে। প্রতিটি শিশুর নিজস্ব গুণাবলী থাকে। সব শিশু একরকম হয় না, তাই অন্য কারো সাথে তাদের তুলনা করবেন না।
অভিভাবকদের উচিত তাদের স্বপ্ন সন্তানের ওপর চাপিয়ে না দেওয়া। শিশুদের ভুল থেকে শিখতে এবং নিজের পথ বেছে নিতে দেওয়া উচিত। এটি তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। তাদের স্বাভাবিকভাবে বাড়তে দিন।
শিশুরা সবসময় অভিভাবকদের কথা শোনে না, কিন্তু তাদের দেখে শেখে। সন্তানকে ভালো গুণাবলী শেখাতে হলে, আগে অভিভাবকদের নিজেদের মধ্যে সেই গুণাবলী গড়ে তুলতে হবে। অভিভাবকরা শান্ত থাকলে শিশুরাও শান্ত থাকবে।
শুধুমাত্র নম্বর বা ট্রফির দিকে মনোযোগ দেবেন না। সুখী শিশুরা জীবনে ভালো করে। আপনার সন্তানকে একটি সুখী পরিবেশে বড় করা আপনার প্রথম কর্তব্য। তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন এবং তাদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিন।
নিখুঁত অভিভাবক হওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেউই ১০০% নিখুঁত নন। অপরাধবোধ বা তুলনা ছাড়াই আনন্দের সাথে সন্তান লালন করুন। শিশুরা চায় অভিভাবকরা তাদের সাথে সময় কাটাক, বিচারক হিসেবে নয়।
সংক্ষেপে, সেরা অভিভাবক হওয়ার অর্থ হল নিজেকে উন্নত করা। সন্তানের সাথে মিশে যান, তাদের সাথে শিশু হয়ে উঠুন এবং মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন।

