সংক্ষিপ্ত

শিশুকে যদি আত্মবিশ্বাসী করতে চান তাহলে প্রথমেই শিশুকে কিছু স্বাধীনতা দিতে হবে। শিশুর আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে তারা সাধারণত নতুন জিনিস অন্বেষণ করতে চায় না ।

 

সন্তানদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলা বাবা ও মা উভয়েরই দায়িত্ব। সন্তান যদি আত্মবিশ্বাসী হয় তাহলে সে চলার পথে অনেকটাই সফল হয়। শিশুরা হল অনেকটা কাদামাটির তালের মত। সেই কাদামাটির তালকে আপনি আপনার মনের মত করে গড়ে তুলতে পারেন। তবে তার জন্য ছোটবেলা থেকেই শিশুর দিকে নজর দেওয়া জরুরি। শিশুকে যদি আত্মবিশ্বাসী করতে চান তাহলে প্রথমেই শিশুকে কিছু স্বাধীনতা দিতে হবে।

যেসব শিশুর আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে তারা সাধারণত নতুন জিনিস অন্বেষণ করতে চায় না এবং প্রায়ই তাদের আত্মবিশ্বাসী বন্ধুদের চেয়ে স্কুল প্রতিযোগিতায় খারাপ করে। এটি তাদের পরবর্তী জীবনে আটকে রাখতে পারে এবং তাদের একটি পরিপূর্ণ কেরিয়ার হতে বাধা দিতে পারে। নিরুৎসাহ এবং ভয় হল আত্মবিশ্বাসের শত্রু, এইভাবে একজন অভিভাবক হিসেবে, আপনার সন্তান যখন চ্যালেঞ্জিং ক্রিয়াকলাপ করতে চায় তখন তাকে সমর্থন করা এবং উল্লাস করা আপনার দায়িত্ব।

শিশুদের আত্মবিশ্বাসী করার জন্য প্রয়োজন

১. মডেল আত্মবিশ্বাস

শিশুটিকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে দিন। আপনি আপনার উদ্বেগ লুকিয়ে রেখে শিশুকে এগিয়ে যেতে দিন। গঠনমূলক কাজে শিশুকে সঙ্গে নিন।

২. শিশুর প্রশংসা

অপনি আপনার শিশুর কাজের প্রশংসা করুন। তার ভুলগুলি নিয়ে সর্বদা আলোচনা না করে তার ভাল জিনিসগুলিও সামনে তুলে আনুন। তাহলে দেখবেন আপনার শিশু যে কোনও কাজে উৎসহ পাবে। শিশুর কাজের নিন্দা আপনি তার সামনেই করুন। বাইরের লোকের সামনে করবেন না। তাহলে সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে।

৩. বয়স অনুযায়ী কাজ দিন

শিশুর বয়স অনুযায়ী তাকে কাজের দায়িত্ব দিন। বাড়ির ছোট ছোট কাজে শিশুকে কখনই দূরে সরিয়ে রাখবেন না। তাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারহাট করুন। তার পছন্দ অপছন্দ জানুন। দোকানদারের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে দিন।

৪. সমস্যার সমাধান

আপনার সন্তান যদি কোনও সমস্যায় পড়ে তাহলে তাকেই সমস্যার সমাধান করতে দিন। আপনি বড়োজোর তাকে সাহায্য করতে পারেন। বা সমাধানের পথ বলে দিতে পারেন। কিন্তু মূল কাজটি যে তাকেই করতে হবে তা বুঝিয়ে দিন। সন্তানের বন্ধুদের সঙ্গে সমস্যা তৈরি হলে তাকেই মেটানোর দায়িত্ব দিন।

৫. কৌতুহল বৃদ্ধি

সন্তানের কৌতুহল বৃদ্ধির দায়িত্ব বাবা ও মায়ের। কারণ শিশুর অধিকাংশ প্রশ্নই তাদেরকেই করে। শিশু র প্রশ্ন বিরক্ত হবেন না। উল্টের প্রশ্নের উত্তর দিন। যদি উত্তর না জানা থাকে তাহলে শিশুর সঙ্গেই তা খুঁজতে শুরু করেন। তাহলে দেখবেন আপনার শিশুও উৎসহ পাবে নতুন কোনও বিষয়ে।

৬. সন্তান স্নেহ

নিজের সন্তানকে সর্বদা স্নেহ করুন। শিশুকে খুব ভালবাসুন। আপনার ভালবাসা তাঁর আত্মবিশ্বাসের প্রথম পাঠ। কারণ সে যখন বুঝতে পারবে সে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে তখনই সে আত্মবিশ্বাস পাবে। কিন্তু যেসব পরিবারে দাম্পত্য কলহ নিত্য সঙ্গী সেই সব পরিবারে সন্তানরা অনিশ্চয়তায় ভোগে । তারা কিন্তু কখনই আত্মবিশ্বাসী হয় না।