আজকালকার ব্যস্ততার দিনে শিশুর ওপর পড়াশোনা এবং খেলাধুলা বিভিন্ন রকম কম্পিটিশনের মধ্যে অনেক চাপ বাড়ছে। তার জন্য শিশুর শরীরের শারীরিক পরিচর্যা দিকে খেয়াল রাখতে স্ট্রেচিং করান।
URL:
Keywords:
সারাংশ:
আজকাল শিশুদের ছোট বয়স থেকেই ব্যাগ ভর্তি বই খাতা বয়ে স্কুল যেতে ঘাড় কাঁধ ব্যথা। কম্পিটিশন এর যুগ, দৌড়াদৌড়ি করতে করতে শিশু হাপিয়ে ওঠে। আর মা বাবা রাও আজকাল কার যুগের সাথে গড়ে তুলতে শিশুকে অতিরিক্ত এফোর্ট দেন। তবে এসবের মধ্যে শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও খুব জরুরী। যেটা আমরা ভুলে যাই।
শিশুদের স্ট্রেচিং অভ্যাস করান নিত্যদিন। তাহলে তাদের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে, মনঃসংযোগ বাড়বে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে সংক্রামক রোগ থেকেও শিশু দূরে থাকবে।
স্ট্রেচিং শরীরকে নমনীয় করে তোলে, পেশী শিথিল করে এবং সামগ্রিক শারীরিক সুস্থতা উন্নত করে, যা পরোক্ষভাবে তাদের সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ঠিক কি ধরনের স্ট্রেচিং করতে পারে ছোটরা আসুন দেখা যাক:
* প্রথমে আর্ম সার্কল৷ এক বার ঘড়ির কাঁটার দিকে ও পরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে কাঁধের কাছ থেকে ১০ বার করে এক-একটা হাত উপরে-নীচে ঘোরাতে হবে।
* এর পরে শোল্ডার সার্কল৷ সোজা দাঁড়িয়ে কাঁধকে ১০ বার ঘড়ির কাঁটার দিকে ও ১০ বার ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘোরাতে হবে।
* এই দুই স্ট্রেচিংয়ে শরীরের জড়তা কাটবে। এর পর সোজা দাঁড়িয়ে সাইড বেন্ডিং, ব্যাক বেন্ডিং ও ফ্রন্ট বেন্ডিং করতে হবে ১০ বারা করে। শরীর এক বার বাঁ দিকে, এক বার ডান দিকে ও তার পরে নীচের দিকে ঝুঁকি দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের আঙুল স্পর্শ করতে হবে।
* বাটারফ্লাই পোজ় করতে পারে। ছোটদের জন্য খুব ভাল স্ট্রেচিং। মেঝেতে বসে দুই পায়ের পাতা সামনাসামনি জুড়ে রাখতে হবে। এ বার দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের পাতা ধরে হাঁটু ওঠা-নামা করতে হবে। ১০ সেট করে তিন বার করতে হবে এই ব্যায়াম।
* ছোটদের জন্য আরও একটি ভাল স্ট্রেচিং হল পেলভিক টিল্ট। প্রথমে চিত হয়ে শুতে হবে। এ বার কোমর মাটিতে রেখে দুই পা মাটি থেকে তুলে কোমরের সঙ্গে সমকোণে রেখে থাকতে হবে দশ সেকেন্ড। হাত থাকবে দেহের দুই পাশে। এ বার পর্যায়ক্রমে ডান পা ও বাঁ পা তুলে একই ভাবে থাকতে হবে। এই ব্যায়ামে পেটে চাপ পড়বে। এতে মেদ ঝরবে।
স্ট্রেচিং-এর জন্য কি কি সুবিধা হতে পারে আসুন দেখা যাক:
* উচ্চতা বৃদ্ধি: স্ট্রেচিং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পেশী এবং হাড়ের স্বাভাবিক বিকাশে সহায়তা করে, যা উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* মনঃসংযোগ বৃদ্ধি: নিয়মিত স্ট্রেচিং মানসিক চাপ কমাতে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শিশুদের পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজে আরও মনোযোগী করে তোলে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: স্ট্রেচিং এবং শারীরিক কসরত শরীরের সার্বিক সুস্থতা বাড়ায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সংক্রামক জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
* শারীরিক সুস্থতা: স্ট্রেচিং শরীরের নমনীয়তা বাড়ায় এবং পেশী শিথিল করে, যার ফলে শিশুরা খেলার সময় এবং অন্যান্য কার্যকলাপে আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য পরামর্শ :
* সুষম খাবার: শিশুর উচ্চতা ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে যেমন স্ট্রেচিং প্রয়োজন, তেমনই সুষম ও পুষ্টিকর খাবারও অত্যন্ত জরুরি।
* পর্যাপ্ত ঘুম: শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুমও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* শারীরিক কসরত: স্ট্রেচিং ছাড়াও, শিশুদের নিয়মিতভাবে অন্যান্য শারীরিক কসরত, যেমন দৌড়ানো, খেলাধুলা ইত্যাদি করানো উচিত।


