আপনার সন্তান কথা বলতে দেরি করছে, তবে অবশ্যই ফলো করুন এই কার্যকরী টিপস
কিছু শিশুর কথা বলা অনেক দেরিতে শুরু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর কারণ হতে পারে অটিজম বা শ্রবণশক্তি দুর্বলতা। কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক শিশুরাও যদি দুই বছর বয়সেও স্পষ্টভাবে কথা বলতে না পারে, তাহলে তা অভিভাবকদের ভুলের কারণেই হতে পারে।

অনেক শিশু দুই বছর বয়স হওয়ার আগেই মা, দাদা ইত্যাদি ছোট ছোট শব্দ বলতে শুরু করে। স্পষ্ট না হলেও, কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু শিশু চার-পাঁচ বছর বয়সেও একটিও শব্দ উচ্চারণ করতে পারে না।
অভিভাবকদের কিছু ভুলের কারণে শিশুদের কথা বলতে দেরি হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদি আপনার সন্তানের বয়স দুই-তিন মাস হয়, তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুলগুলি এড়িয়ে চলুন। নাহলে আপনার সন্তানেরও কথা বলতে দেরি হতে পারে। তাই শিশুর দ্রুত কথা বলার জন্য অভিভাবকদের কী করা উচিত তা জেনে নেওয়া যাক।
ঘন খাবার
আপনার সন্তানের ছয় মাস বয়স হলে তাকে ঘন খাবার এবং শস্যদানা খাওয়ানো শুরু করুন। অনেক মা শিশুকে পিষে দেওয়া ফল, ডাল, শস্যদানা খাওয়ান। কিন্তু এতে কাটার এবং চিবানোর পেশীগুলির সঠিক বিকাশ ঘটে না। জানেন কি? শিশু যখন খাবার কামড়ে চিবায় তখন জিহ্বার পেশীগুলি শক্তিশালী হয়। এতে তাদের কথা বলার দক্ষতা দ্রুত বিকশিত হয়।
সিপ্পার কাপে পানি
অনেক মা শিশুকে খাবার খাওয়ানোর জন্য সিপ্পার কাপ ব্যবহার করেন। কিন্তু সিপ্পার কাপ থেকে পানি পান করলে শিশুর গিলতে সমস্যা হয়। এর ফলে আপনার শিশুর কথা বলতে দেরি হতে পারে। তাই এ ধরনের জিনিসপত্র শিশুদের অভ্যাস করাবেন না।
মুখের পরিচ্ছন্নতা
মা যখন শিশুকে খাবার খাওয়ান, তখন মুখে এবং মুখের চারপাশে খাবার লেগে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক মা শিশুর মুখ সাথে সাথেই পরিষ্কার করে দেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাথে সাথেই মুখ পরিষ্কার করা উচিত নয়। মুখে এবং ঠোঁটে লেগে থাকা খাবার শিশুকে জিহ্বা দিয়ে চাটতে দিন। জানেন কি? শিশু যখন জিহ্বা ব্যবহার করে, তখন তাদের তালু বিকশিত হয়। এতে তারা সহজেই কথা বলতে পারে।
শিশুর কতক্ষণ কথা বলা উচিত?
শিশুরা সাধারণত ১১ থেকে ১৪ মাস বয়সে কথা বলা শুরু করে। দেড় বছর বয়সে শিশুর দৈনিক কমপক্ষে ৪০টি শব্দ বলা স্বাভাবিক।
এছাড়াও, শিশু প্রতিদিন কথা শুনেও নতুন শব্দ শিখতে পারে। তাই শিশুর সাথে বেশি বেশি কথা বলুন।