ছোট শিশুরা মুখে বলতে না পারলে বাবা-মায়ের সে বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত এবং লক্ষ্য রাখা উচিত শিশু কোন ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে কি না।

শিশুরা সরাসরি তাদের অসুস্থতার কথা বলতে না পারলেও, বাবা-মায়েদের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত, যা হলো: অস্বাভাবিক উচ্চ জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, তীব্র মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানো, চামড়ায় লাল ফুসকুড়ি বা দাগ, এবং খাওয়াদাওয়ায় অনীহা বা শরীর শুকিয়ে যাওয়া। এই লক্ষণগুলি দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না পেলে বড় বিপদ হতে পারে।

লক্ষণ গুলি হল:

* শিশুর যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তা হলে তা অনেক সময়েই বোঝা যায় না। এ ক্ষেত্রে ঠোঁট বা মুখমণ্ডলের রং নীলাভ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখলে সাবধান হওয়া উচিত। কান্না, কথা বলতে সমস্যা হওয়া বা ঘন ঘন শিশুর ক্লান্তিবোধ দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে।

* শিশুদের জ্বর অনেক সময়েই বড় রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। তাই শিশুর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রা থাকলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। আবার সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা ৯৭.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচে থাকাও কোনো সংক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে।

* সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে জ্বর যদি ওষুধ খাওয়ানোর পরেও না কমে, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। জ্বরের সঙ্গে মাথা ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে না পারা, দেরিতে ঘুম ভাঙার মতো লক্ষণগুলি শনাক্ত করা উচিত। বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত ঘটলেও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

* শিশুর শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হলে তা কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। যেমন ৮ ঘণ্টার বেশি যদি শিশু মূত্রত্যাগ না করে, কান্নার সঙ্গে যদি চোখের জল না বেরোয়, বা দৌড়ঝাঁপের পর ঘাম না নির্গত হয়, তা হলে সাবধান হওয়া উচিত।

* খেলতে গিয়ে শিশুদের চোট-আঘাত লাগে। তবে মাথায় আঘাত লাগলে তা মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ছোটদের বমি, অসংলগ্ন কথাবার্তা বা খিঁচুনি হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

এছাড়াও, যদি শিশুর ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায় বা ত্বক ঠান্ডা লাগে, তাহলেও সতর্ক হওয়া উচিত। এই লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।