Parenting Tips: প্রতিটি শিশুর বেড়ে ওঠায় পরিবারের ভূমিকা থাকে গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সদস্যদের আচরণ, কথা বলার ধরন এই সবকিছুরই প্রভাব পড়ে শিশুমনে। তাই ছোটদের বড় করে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যত্নশীল হতে হবে বাড়ির বড়দেরও। থাকতে হবে সজাগ।
Children: সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে বাড়িতেই শেখানো যায় এমন ৭টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। দায়িত্ববোধ তৈরি করা, ঘরের কাজে যুক্ত করা, ভালো আচরণ ও শিষ্টাচার শেখানো, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, সুস্থ জীবনযাপনের অভ্যাস করানো, সময় ব্যবস্থাপনা শেখানো এবং মানসিকভাবে তাদের পাশে থাকা (যেমন ঘুমানোর আগে গল্প করা), যা তাদের স্বাবলম্বী, আত্মবিশ্বাসী ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
বাড়িতে শেখানোর ৭টি নিয়ম:
১. দায়িত্ববোধ ও স্বাবলম্বিতা: ছোট ছোট কাজ যেমন নিজের বিছানা গোছানো, খেলনা গুছিয়ে রাখা, বা জলের বোতলে জল ভরার মতো দায়িত্ব দিন, যা তাদের দায়বদ্ধতা শেখায় ও স্বনির্ভর করে তোলে।
২. ঘরের কাজে অংশগ্রহণ: খেলাচ্ছলে বা হালকাভাবে তাদের সংসারের টুকিটাকি কাজে অন্তর্ভুক্ত করুন, এতে তাদের মধ্যে দলবদ্ধভাবে কাজ করার মানসিকতা ও মূল্যবোধ তৈরি হয়।
৩. শিষ্টাচার ও ভালো আচরণ: 'ধন্যবাদ', 'দয়া করে' বলা, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, এবং ভালো প্রতিক্রিয়া পেলে খুশি হওয়া—এই অভ্যাসগুলো তাদের আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ়চেতা করে তোলে।
৪. আত্মবিশ্বাস তৈরি: তাদের ছোট ছোট সাফল্যে প্রশংসা করুন ও উৎসাহ দিন। এতে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং তারা নতুন কিছু চেষ্টা করতে ভয় পায় না।
৫. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: নিয়মিত ব্রাশ করা, স্নান করা, চুল আঁচড়ানো থেকে শুরু করে নিজেদের খাবার তৈরি করা (যেমন স্যান্ডউইচ/সালাদ) পর্যন্ত শেখানো জরুরি।
৬. সময় ব্যবস্থাপনা (Time Management): পড়া, খেলা ও অন্যান্য কাজের জন্য একটি রুটিন তৈরি করতে সাহায্য করুন, যা তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে শেখাবে।
৭. মানসিক সংযোগ (Emotional Bonding): প্রতিদিন ঘুমানোর আগে সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন, তাদের দিনের অভিজ্ঞতা শুনুন, গল্প পড়ুন বা আনন্দদায়ক আলোচনা করুন। এটি তাদের মানসিক শান্তি ও আবেগিক বিকাশে সাহায্য করে।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে শিশুরা শুধু academically নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল ও সুখী হয়ে উঠবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


