সংক্ষিপ্ত
- সম্পর্ক নিয়ে সমস্যা প্রায় বেশিরভাগ জুটির মধ্যেই
- সম্পর্কের বয়স যদি একটু বেশি হয় তবেই শুরু হয় সমস্যা
- সামান্য বিষয় নিয়ে দুটি মানুষের মধ্যে ক্রমাগত অশান্তি
- একান্তে সময় কাটাতে গিয়েও ফোনে ব্যস্ত সঙ্গী
সম্পর্ক নিয়ে সমস্যা প্রায় বেশিরভাগ জুটির মধ্যেই। তা সে বিবাহিতই হোক বা অবিবাহিত। সম্পর্কের বয়স যদি একটু বেশি হয় তবেই শুরু হয় সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা। দিনের পর দিন ছোটখাটো বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে বেড়েই চলে সমস্যাগুলি। একটা সমস্যা কাটিয়ে ওঠার পর আবারও শুরু হয় অরেকটি নতুন সমস্যা। আগে যে বিষয়গুলি হাসির ছলেই মিটে যেত এখন সেই একই বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয় ঝামেলা, অশান্তি। আবার অনেক সম্পর্কেই দেখা যায় সামান্য বিষয় নিয়ে দুটি মানুষের মধ্যে ক্রমাগত অশান্তি। দুজনে একান্তে সময় কাটাতে গিয়েও দুজনের মধ্যে কথা বলার অবকাশ থাকে না। আর এর কারন একজন সব সময়েই ব্যস্ত ফোনে। সামনে থেকেও ক্রমাগত উপেক্ষা করে চলে সঙ্গীকে। আর এই ঘটনা যদি ক্রমাগত চলতে থাকে, তবে সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঝামেলা না করে সামলান অন্যভাবে। মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি-
আরও পড়ুন- স্বাস্থ্য থেকে সৌন্দর্য, সবেতেই কার্যকর পুষ্টিগুণে ঠাসা এই দুধ
যদি কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়, যার কারনে সঙ্গী আপনাকে উপেক্ষা করছে তবে পরিস্থিতি সামলাতে কথা বলুন সঙ্গীর সঙ্গে। মনের মধ্যে থেকে ইগো বা রাগ আগে দূরে রাখুন, বোঝার চেষ্টা করুন সমস্যার শুরুটা কোথা থেকে। যদি সঙ্গীর আপনার প্রতি টান বা ভালোবাসা থাকে তবে তিনি আপনার কথা অবশ্যই মন দিয়ে শুনবেন এবং পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন।
নিজের মনের কথা বললেই হবে না, কথা শোনার ধৈর্য রাখতে হবে আপনাকেও। সঙ্গীর সমস্যা বুঝতে হবে আপনাকেও। সঙ্গীর আগ্রহ বা পছন্দের বদল হয়েছে কি না সেই বিষয়ে কথা বলুন। এমন সময়ে যদি দেখেন সঙ্গী আপনার সঙ্গে পরিস্কারভাবে কথা বলছেন না। ঘুরিয়ে কথার উত্তর দিচ্ছেন, তবে সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে, এই সম্পর্কে আপনি থাকতে চান কি না।
আরও পড়ুন- মানসিক অবসাদে ভুগছেন, জানতে নিজেকে করুন এই প্রশ্নগুলি
সব সময় নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা করবেন না, পজেটিভ চিন্তা করুন। সব সময় পজেটিভ কথা বলুন এতে আপনার সঙ্গীর মনের বিভ্রান্তি থাকলে তা কেটে যাবে। স্পষ্ট জানতে চান, কেন তিনি আপনাকে উপেক্ষা করে চলছেন। তবে এটা যদি আপনার সঙ্গীর স্বভাব হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিন ওনার সঙ্গে আপনি সারাজীবন মানিয়ে চলতে পারবেন কি না।
কর্মব্যস্ত জীবনে সবার হাতেই সময় খুব কম। তাই ভালোবাসার নিবিড় এই সম্পর্ককে অটুট রাখতে কোয়ালিটি টাইম দিন সম্পর্ককেও। সারাদিন কাজ নিয়ে মেতে না থেকে কথা বলুন দুজনে। শুধুমাত্র এই দূরত্বের কারণেই সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে এক সময়ে। তাই সঙ্গীকে উপেক্ষা না করে মনের কথা বলে মিটিয়ে ফেলুন সমস্যা।